সেঞ্চুরিয়নের মাঠে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক জেপি ডুমিনি। ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ভারত। ফলে এদিন জিততে পারলেই সিরিজ জিতে নিতে পারত তারা। কিন্তু হলনা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মা (০) আউট হয়ে ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরে ধাওয়ান-রায়না জুটি। কিন্তু দলের ৪৪ রানের মাথায় শিখর (২৪) ও ৪৫ রানের মাথায় বিরাট (১) ফেরার পর কিছুটা হলেও ধাক্কা খায় ভারত। পরে রায়না (৩১) রানে ফেরার পর বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন মণীশ পাণ্ডে। সঙ্গে ছিলেন ধোনি। এই দুজনেই খেলা শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। মণীশ করেন ৪৮ বলে ৭৯ রান, ধোনি করেন ২৮ বলে ৫২ রান। এই দুজনের আগুনে ব্যাটিংয়ের কাঁধে ভরসা করে ভারত ২০ ওভারের শেষে ১৮৮ রান তোলে। যদিও এখন যা টি-২০-র প্রবণতা, তাতে পিচ খুব খারাপ না হলে ২০০ রানের ওপর হলে তবেই জেতার সুযোগ, না হলে জেতার সুযোগ কম। সেটাই দেখা গেল এদিন।
রান তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক ডুমিনি ও উইকেটরক্ষক ক্ল্যাসেনের দাপুটে ব্যাটিংয়ের জোরে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ডুমিনি ৪০ বলে ৬৪ রান ও ক্ল্যাসেন ৩০ বলে ৬৯ রান করেন। ক্ল্যাসেনের ‘পাশবিক’ ব্যাটিং তাড়িয়ে উপভোগ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকেরা। ক্ল্যাসেনই এদিন প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। ভারতের হারের খলনায়ক হয়ে রইল এদিন চাহলের বোলিং। ৪ ওভার বল করে চাহল দিয়েছেন ৬৪ রান। আর সেখানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের বাকি টিমের আপ্রাণ লড়াই। দেশের মাটিতে টানা হারতে থাকা নিজেদের দলকে অন্তত এদিন ঘুরে দাঁড়াতে দেখে খুশি দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থককুল। এদিনের জয়ের ফলে সিরিজ এখন ১-১। ফলে তৃতীয় ও শেষ টি-২০ হয়ে গেল ফাইনাল ম্যাচ। যে জিতবে, সিরিজ তার।