শ্রীলঙ্কায় টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতের ভাঙা দল। ৫ জন প্রথম সারির খেলোয়াড় বিশ্রামে। তবু দলের খেলার মানে কোনও হেরফের হতে দিচ্ছেননা বাকিরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সোমবার বৃষ্টি বিঘ্নিত ফিরতি ম্যাচে ভারত জিতল হিসেব কষে। শ্রীলঙ্কার শেষের দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পুরো ফায়দা ঘরে তুলল ভারতীয় দল। শ্রীলঙ্কাকে হারাল ৬ উইকেটে। ৯ বল বাকি থাকতেই খেলা জিতে নেয় ভারত।
সোমবার বৃষ্টির জন্য ম্যাচ ২০ ওভার থেকে কমিয়ে ১৯ ওভার করা হয়েছিল। সেই খেলায় টস জিতে এদিন শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার রান তোলার গতি ছিল বেশ ভাল। কুশল মেন্ডিসের বিধ্বংসী ৫৫ রানের ইনিংস ও গুণতিলক (১৭), থারাঙ্গা (২২), পেরেরা (১৫) ও সনকা (১৯)-র রানের কাঁধে ভর করে ১৯ ওভারের শেষে শ্রীলঙ্কা পৌঁছে যায় ১৫২ রানে। যদিও যে গতিতে তারা প্রথম ১০ ওভারে রান তুলেছিল, শেষে ৯ ওভারে সেই ধারা বজায় রাখতে পারেনি শ্রীলঙ্কা দল। যা তাদের স্কোরকে কম রানে আটকে দিলই শুধু নয়, সহজ পিচে ভারতের জন্য জেতার পথও প্রশস্ত করল। সেইসঙ্গে ভারতীয় বোলার শার্দূল ঠাকুরের দুরন্ত বোলিং এদিন ভারতকে অনেকটা জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছে। শার্দূল ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। তাঁর এই দুরন্ত স্পেলের জেরে ভারত শ্রীলঙ্কাকে অনেক কম রানে বেঁধে দিতে সক্ষম হয়।
১৯ ওভারে ১৫৩ রান করতে হবে। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমেই মারমুখী মেজাজ দেখাতে শুরু করেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু মাত্র ১১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। শিখর ধাওয়ানও ফেরেন ৮ রান করে। কেএল রাহুল ও রায়না স্কোর কিছুটা টানলেও রায়না সহজ ক্যাচ তুলে ফেরেন ২৭ রান করে। পরে রাহুল (১৮) দুর্ভাগ্যবশত হিট উইকেট হয়ে যখন প্যাভিলিয়নমুখো হন তখন ভারতের স্কোর ৮৫। তখনও অনেকটা পথ বাকি। এই অবস্থায় মণীশ পাণ্ডে ও দীনেশ কার্তিক অঙ্ক কষে খেলা শুরু করেন। যার ফলে তাঁরা শ্রীলঙ্কার বোলারদের কোনও সুযোগ দেননি। বল বুঝে শট নিয়েছেন। হঠকারিতা ছিলনা দুজনের ইনিংসে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এঁরাই দুজনে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ভারতকে ম্যাচ জেতান। মণীশ (৪২) ও কার্তিক (৩৯) ৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন। দুরন্ত স্পেলের জন্য ম্যাচের সেরা হন শার্দূল ঠাকুর।