বাংলাদেশকে সহজেই হারিয়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। লিগ টেবিলেও প্রথম স্থান দখল করল তারা। বুধবার বাংলাদেশকে ১৭ রানে পরাজিত করে রোহিত শর্মার ছেলেরা। ফলে লিগে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১টি জয় ও ১টি হার। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২টি ম্যাচেই জয় পেল ভারত। ফাইনালে ভারত কার সঙ্গে খেলবে তা শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে কে জেতে তার ওপর নির্ভর করছে।
বুধবার বাংলাদেশ টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায়। বাকি ম্যাচে কম রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরা ভারত অধিনায়ক এদিন সতর্কভাবেই শুরুটা করেন। সঙ্গে ছিলেন ফর্মে থাকা শিখর ধাওয়ান। তবে খেলা যত গড়িয়েছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে রোহিতের ব্যাট। ধাওয়ান ৩৫ রান করে ফেরার পর রোহিতের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রায়না। রোহিত-রায়না যুগলবন্দি ভারতকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়। রোহিত শর্মা ৮৯ রান করে রান আউট হন। তাঁর ৬১ বলে ৮৯ রানের ইনিংসে রয়েছে ৫টি করে ছক্কা ও চার। অন্যদিকে রায়নার ৩০ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার ও ২টি ছয়। ২০ ওভার খেলে ভারত ৩ উইকেট খুইয়ে ১৭৬ রান তোলে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে শার্দূল ঠাকুরের বলে বাংলাদেশের তামিম ইকবালের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ১ ওভারে ১৯ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোরে। কিন্তু তারপরই ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার হতে থাকেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা। তামিম (২৭), লিটন দাস (৭) ও সৌম্য সরকার (১)-কে ফেরান তিনি। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লা (১১) রানে ফেরেন চাহলের ঘূর্ণির শিকার হয়ে। এরপর মুশফিকুর রহিম ও সব্বির রহমান খেলার হাল ধরেন। ধীরে ধীরে রান টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৭ রানের মাথায় সাব্বির রহমানকে বোল্ড করে ফেরান শার্দূল ঠাকুর। তারপর আর জেতার পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। মিরাজ ৭ রানে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান মুশফিকুর। ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশ ২০ ওভারের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ১৫৯ রান।