তাদের জন্য ঐতিহাসিক টেস্ট ছিল এটি। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে এই টেস্ট দিয়েই পা রেখেছিল আফগান ব্রিগেড। কিন্তু সেই ৫ দিনের টেস্ট মাত্র ২ দিনে হেরে গেল আফগানিস্তান। প্রমাণ হল আফগান বোলিং, ফিল্ডিং কিছুটা তৈরি হলেও এখনও ব্যাটিংটা অনেকটাই মেরামতির দরকার। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে ২টো ইনিংস, মানে ২০ উইকেট খোয়াল তারা। তাও আবার ১ দিনের খেলার মোট সময়েরও অনেক কম সময়ে!
টস জিতে ব্যাট নেওয়া ভারত প্রথম দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৩৪৭ রান। দ্বিতীয় দিনে পাণ্ডিয়ার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভরসা করে অনেকটাই রান তুলে নিতে সক্ষম হয় ভারত। ৭১ রান করেন পাণ্ডিয়া। ভারত সব উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৭৪ রান। অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ দল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ভাল রান। এরপর ব্যাট করে নামে আফগানিস্তান।
কিন্তু প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই পরপর উইকেট পড়তে থাকে তাদের। আফগানিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান করেন মহম্মদ নবি। তাঁর সংগ্রহ ২৪ রান। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে বাকি দলটার কী অবস্থা হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় চা পানের বিরতির আগেই। রান হয় ১০৭। ফলে ফলোঅন। ভারত ফলোঅন করিয়ে আফগানিস্তানকে ফের ব্যাট করতে পাঠায়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের সেই একই অবস্থা। সেই আয়ারাম গয়ারাম পরিস্থিতি। ভারতীয় বোলিং ঠেকানোর মত ব্যাটিং দক্ষতার অভাব আফগান ব্যাটিংয়ে বারবার চোখে পড়েছে। এই সমস্যা মেটাতে না পারলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের একটা জায়গা তৈরি করা কিন্তু আফগানিস্তানের জন্য সহজ হবে না। এদিন তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থেকে আফগানিস্তানের জন্য লড়াই চালিয়ে যান ৩৬ রান করা হাসমাতুল্লা শাহিদি। দলের অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাই করেন ২৫ রান। এই দুজন বাদ দিলে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও শোচনীয় হয় আফগান ব্রিগেডের অন্য ব্যাটসম্যানদের রান। ফলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষের আগেই গুটিয়ে যায় আফগান ইনিংস। ১০৩ রানে গুটিয়ে যায় গোটা দল। ম্যাচের সেরা হন শিখর ধাওয়ান।