ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করল ভারত। সবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছিল ইংল্যান্ড। তার ওপর নিজেদের মাঠে চিরকালই ভয়ংকর তারা। সেখানেই তাদের কার্যত তুলোধোনা করে ছাড়ল ভারত। ব্যাটিং, বোলিং কোনও বিভাগেই ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি তারা। প্রথম টি-২০-তে তাদের সহজেই হারাল ভরত। সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
এদিন টস জিতে ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডের পিচে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের ২ ওপেনার জেসন রয় (৩০), জস বাটলার (৬৯) শুরু থেকেই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। রান রেট ধরে রাখেন ১০-এর ওপর। কিন্তু রয় ফিরতে কিছুটা হলেও থমকে যায় রানের চাকা। কিন্তু তখনও বাটলার পিচে। আর তাঁর ব্যাট চলতেই থাকে। কিন্তু বাটলার একাই লড়ছিলেন। অন্যদিকে একজন করে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান এসেছেন আর ভারতের ঘূর্ণির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন। অধিনায়ক মর্গান, হেলস, বেয়ারস্টো, রুট, মইন আলি, জর্ডন কেউই ১০ রানের ওপর যেতে পারেননি। এরমধ্যে বেয়ারস্টো, রুট ও জর্ডন ০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেষের দিকে উইলি কিছুটা লড়াই দেন। খেলার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২৯ রান করেন তিনি। দলগত ১৪১ রানের মাথায় পড়ে বাটলারের উইকেট। ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডারে এই ধস নামিয়ে দেন কুলদীপ একাই। এদিন ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট একাই তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের বড় রানের আশায় জল ঢেলে দেন ভারতের চায়নাম্যান। ২০ ওভারের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড ইনিংস শেষ করে ১৫৯ রানে।
১৬০ তাড়া করতে হবে। লক্ষ্য বড় নয়। কারণ আইপিএলের দৌলতে এখন সকলেই জানেন টি-২০-তে ২০০-র কাছে রান না থাকলে তা লড়াই দেওয়ার মত রান নয়। এই অবস্থায় খেলতে নেমে মাত্র ৪ রান করে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। কিন্তু তারপর কেএল রাহুলের বিধ্বংসী ব্যাটিং আর রোহিত শর্মার যোগ্য সঙ্গতের জোরে ভারতের রানের চাকা গতিতে ঘুরতে শুরু করে। রাহুল অপরাজিত থেকে করেন ১০১ রান। তাও মাত্র ৫৪ বলে। যারমধ্যে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কা রয়েছে। দলগত ১৩০ রানের মাথায় ৩২ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। কিন্তু ততক্ষণে খেলা কার্যত হাতের মুঠোয় এসে গেছে। নামেন বিরাট কোহলি। খেলার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেন ২০ রান। ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ভারত। জেতে ৮ উইকেটে। রাহুলের দুরন্ত সেঞ্চুরি থাকলেও কুলদীপের বিষাক্ত বোলিং আক্রমণের জেরেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধস নেমেছে এদিন। তাই কুলদীপকেই ম্যাচের সেরা ঘোষণা করেন নির্বাচকরা।