এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট হেরে গেল ভারত। জয়ের জন্য পঞ্চম দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না ইংল্যান্ডকে। চতুর্থ দিনেই গোটা ভারতীয় দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬২ রানে গুটিয়ে দেন ব্রিটিশ বোলাররা। প্রথম ইনিংসে একা টানলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে বেন স্টোকসের বিষাক্ত বোলিং ভারতীয় ইনিংসে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেয়। ভারতের এই হারের জন্য দলের ব্যাটিং অর্ডারকেই দায়ী করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা। এই টেস্টে হেরে ৫ টেস্টের সিরিজে ১-০-তে পিছিয়ে গেল বিরাটের ভারত।
বার্মিংহামের এজবাস্টনের পিচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। টেস্টে সাধারণত যারা টস জেতে তারাই ব্যাট নিয়ে থাকে। প্রথমে ব্যাট করে ২৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। এই রানটাও উঠত না যদি না অধিনায়ক জো রুট (৮০) ও উইকেটরক্ষক বেয়ারস্টো (৭০) লড়াই না করতেন। প্রথমে ব্যাট করে ২৮৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হওয়া খুব একটা ভাল ইঙ্গিত ছিলনা ইংল্যান্ডের জন্য। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কিন্তু ইংল্যান্ডের চাপ অনেকটাই কমে যায় ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দুর্দশায়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জঘন্য ব্যাটিং ক্রমশ কোণঠাসা করতে থাকে মেন ইন ব্লু-কে। পরিত্রাতার ভূমিকা নেন একা বিরাট কোহলি। অধিনায়কের মত একা দাঁড়িয়ে থেকে ১৪৯ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। একা বিরাটের কাঁধে ভর করেই ভারত একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে শেষ করে ইনিংস। ২৭৪ রানে শেষ হয় ভারতের প্রথম ইনিংস।
১৩ রানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলিং দাপটে ১৮০ রান করেই গুটিয়ে যায়। আরও ভয়ংকর হত অবস্থা যদি না বোলার কুরান ৬৩ রানের একটা ইনিংস শেষ মুহুর্তে খেলে দিতেন। অন্যদিকে ভারতের ইশান্ত শর্মা একাই ৫ উইকেট তুলে নেন। ১৯৪ রান করলে জিতবে, এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস দুর্বিষহ চেহারা নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও একাই জেতার জন্য কিছুটা লড়াই দেন বিরাট কোহলিই। ৫১ রান করেন তিনি। কিন্তু বাকি গোটা দলটার ব্যর্থতা তাঁর সেই লড়াইতে জল ঢেলে দেয়। ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। টেস্ট হারে ৩১ রানে। স্যাম কুরানকে ম্যাচের সেরা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।