পুরো ৩ দিনও লাগল না। তারমধ্যে প্রাপ্তি পৃথ্বী শয়ের অভিষেকে শতরান। টেস্টে অধিনায়ক বিরাট কোহলির দ্বিতীয় দ্রুততম শতরান। রবীন্দর জাদেজার শতরান। কুলদীপের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট। একের পর এক রেকর্ড গড়ে নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। উল্টোদিকে যে উইন্ডিজের মত একটা ক্রিকেট শক্তি খেলল তার ঘুণাক্ষরে টেরও পাওয়া গেলনা। অবশেষে কার্যত আড়াই দিন খেলে ১ ইনিংস ও ২৭২ রানে জয়ী হল ভারত। তাও আবার প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে।
রাজকোটে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ব্যাটিং সহায়ক পিচে অতি ভয়ংকর হয়ে ওঠেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা। ৯ উইকেট হারিয়ে ভারতের স্কোর যখন দ্বিতীয় দিনে ৬৪৯ রান তখন ডিক্লেয়ার করে দেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাট করতে নেমে আরএল কাসে (৫৩) ও কেএমএ পল (৪৭) বাদ দিয়ে কেউই রান করতে পারেননি। ব্যাট হাতে নেমেছেন আর কিছু পরে আউট হয়ে ফিরে গেছেন। টেস্ট খেলার মুন্সিয়ানাই এই উইন্ডিজ দলে দেখতে পাওয়া যায়নি। ১৮১ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে যাওয়ার পর ফলোঅন করান বিরাট কোহলি।
মাঠে নেমে প্রথম ইনিংসের মতই দশা হয় উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। দ্বিতীয় ইনিংসে পাওয়েলের ৮৩ রানের ইনিংস বাদ দিলে কোনও ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানই কোনও ছাপ রেখে যেতে পারেননি। আয়ারাম গয়ারাম চলেছে পরপর। তৃতীয় দিনে আবার সকাল থেকেই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন কুলদীপ যাদব। ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসও। ১৯৬ রালে অল আউট হয়ে যায় তারা। ফলে ভারত ১ ইনিংস ও ২৭২ রানে জয়ী হয়। এই টেস্ট জয়ের ফলে ২ টেস্টের সিরিজে ১-০-তে এগিয়ে গেল ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে ড্র করতে পারলেই সিরিজ পকেটে পুরতে পারবে বিরাট বাহিনী।