টি-২০-তে নাকি উইন্ডিজ মানেই বিভীষিকা। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্দরমহলে কান পাতলে এমনটাই শোনা যায়। সেই উইন্ডিজ ভারতের মাটিতে টেস্ট, ওয়ান ডে সিরিজ হারের পর টি-২০ সিরিজও গোহারান হারল। ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে গিয়ে তৃতীয় ম্যাচ হোয়াইট ওয়াশের লড়াইয়ে পরিণত করল ভারত। অন্যদিকে উইন্ডিজের জন্য মুখরক্ষার লড়াই হয়ে দাঁড়াল তৃতীয় টি-২০। মঙ্গলবারই দুপুরে লখনউয়ে উদ্বোধন হয়েছে ভারতরত্ন শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের। সেই নতুন স্টেডিয়ামে সন্ধেয় প্রথম ম্যাচটি ছিল ভারত বনাম উইন্ডিজের টি-২০ ম্যাচ। আর সেই ম্যাচে ৭১ রানে অনায়াস জয় পেল ভারত।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় উইন্ডিজ। রান তাড়া করায় তারা সিদ্ধহস্ত। ফলে ভারত চাইছিল বড় রানের ইনিংস গড়তে। ব্যাট হাতে প্রথম ওভার মেডেন দেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফলে দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ভারত কত করতে পারে। রোহিত শর্মার এটাই খেলার ধরণ। ধরে শুরু করে তারপর বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। নিজেকে সেট করতে একটু সময় নেন। এদিনও তাই হয়েছে। রোহিত শর্মার সেই নির্মম বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখলেন লখনউয়ের দর্শকরা। এদিন একা রোহিতই মাত্র ৬১ বল খেলে ১১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। যে ইনিংসে ৭টি ছক্কা ও ৮টি চার রয়েছে। এছাড়া শিখর ধাওয়ানও এদিন রান পেয়েছেন। তিনি করেন ৪৩ রান। এদিনও বিফল ঋষভ পন্থ। ৫ রানে আউট হন তিনি। রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে শেষ পর্যন্ত থেকে কেএল রাহুল করেন ১৪ বলে ২৬ রান। ভারত ২০ ওভারের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৫ রান।
১৯৬ রানের বড় ইনিংস তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোপের উইকেট হারায় উইন্ডিজ। হেটমায়ার ও ব্রাভো কিছুটা চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টেকেনি জুটি। একের পর এক আউট হয়ে ফিরতে থাকেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানেরা। ব্রাভো (২৩) ও পল (২০) বাদ দিলে কেউ ২০-র ঘরেও পৌঁছতে পারেননি। ৫ জন ২ অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি। ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ তোলে ১২৪ রান। এদিন ভুবনেশ্বর কুমার ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল। ৪ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি উইকেট। খলিল আহমেদও নজর কেড়েছেন। প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ হন রোহিত শর্মা।