প্রথম টেস্ট যে এমন টানটান উত্তেজনা তৈরি করবে তা বোধহয় কারও জানা ছিলনা। গত রবিবার ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৪ তোলার পর বাকি ৬ উইকেটে ২১৯ রান ছিল টার্গেট। ছুঁতে পারলে অ্যাডিলেডে ভারতকে প্রথম টেস্টে হারাতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে পঞ্চম দিনের উইকেটে এই রান শেষের ৬ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে তোলা কার্যতই ছিল অসম্ভব। কিন্তু পঞ্চম দিনে যে লড়াই অস্ট্রেলিয়া দিল তার তারিফ করতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দিকের ব্যাটসম্যানেরা সফল না হলেও এদিন মিডল অর্ডার আর টেল এন্ডাররা লড়াইয়ে ত্রুটি রাখেননি।
হেড (১৪) সকালে দ্রুত ফিরলেও মার্শ করেন ৬০ রান। অধিনায়ক পেনের সঙ্গে জুটি বেঁধে মার্স এদিন কিন্তু খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। দারুণ খেলেন পেনও। কিন্তু ৪১ রান করে তাঁকেও ফিরতে হয়। এরপর কামিন্স ও স্টার্ক দুজনেই ২৮ রান করে দলের খাতায় যোগ করেন, যা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষের দিকে নাথান লিয়ঁর অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস অজিদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। চাপে ফেলে দিয়েছিল ভারতকেও। তবে কী তীরে এসে তরী ডুববে? সে প্রশ্নও উঠছিল। তবে হ্যাজেলউড ১৩ রানে ফেরার পর এক ভয়ংকর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ভারতীয় টিম। মাঠেই তারা জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেয়। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের মাঠে তাদেরই প্রথম টেস্টে হারিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ উপভোগ করার মতও বটে। প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ হন চেতেশ্বর পূজারা। যাঁর ব্যাটে ভরসা করেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে প্রথম দিনে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া ভারত। ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০-তে এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির ভারত।