এ প্রশ্নটা চতুর্থ দিনের শেষে ছিল যে পঞ্চম দিনে কতক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারবেন অজি ব্যাটসম্যানেরা। এদিন উত্তর মিলল। উত্তর মাত্র ৪.৩ ওভার। এত তাড়াতাড়ি যে খেলা শেষ হয়ে যাবে তা বোধহয় অজি সমর্থকেরাও ভাবেননি। অজি ব্যাটিংয়ে যে কামিন্সকে ভরসা করছিল তাদের দল সেই কামিন্স এদিন সকালে ২ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। লিয়ঁ চতুর্থ দিনে ৬ রান করেই ছিলেন। এদিন আরও ১ রান করে ফেরেন। এই ২টি উইকেটই ছিল সম্বল। তা তুলে নিতে ভারতের লাগল সাড়ে ৪ ওভার। ভারত জিতল ১৩৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কফিনে পেরেক গাঁথাটা শুরু করে দিয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরাহ। দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনি তুলে নিলেন ৩ উইকেট। তাঁর ভয়ংকর বোলিংয়ে ভরসা করেই বক্সিং ডে টেস্ট হেলায় জিতল ভারত। যার পুরস্কারও পেয়েছেন যশপ্রীত। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন তিনি।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে প্রথম দিনে টস জেতা থেকে শুরু করে যেভাবে ভারত তাদের দাপট প্রদর্শন শুরু করেছিল, জিতে মাঠ ছাড়া পর্যন্ত একতরফা সেই দাপট ধরে রাখল তারা। ২টি ইনিংসেই ডিক্লেয়ার করে বিরাট ইতিহাস গড়লেন। প্রথমে ব্যাট করে ৪৪৩ রানে ডিক্লেয়ার করে ভারত। অজিরা পাল্টা করে ১৫১ রান। ফলো অন করানো যেত। কিন্তু তা না করিয়ে বিরাটরা ফের ব্যাট হাতে নামেন। ১০৬ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার দিয়ে ৩৯৮ রানের লিড নিয়ে অজিদের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত।
চতুর্থ ইনিংসেও অজি ইনিংসে ধস নামে। অবশেষে পঞ্চম দিনের সকালে ২৬১ রান করে শেষ হয় পেনের বাহিনী। এই টেস্ট জিতে ৪ টেস্টের সিরিজে ৩ টেস্টের শেষে ভারত এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। চতুর্থ টেস্টে জয় বা ড্র ভারতের জন্য সিরিজ জয় পাকা করবে। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সিরিজ ড্র করতে গেলে অজিদের সিডনিতে শেষ টেস্ট জিততেই হবে।