অস্ট্রেলিয়া জয়ের পর এবার মিশন নিউজিল্যান্ড। আর সেই মিশনের প্রথমেই সাফল্য। যা বাড়িয়ে দিল মেন ইন ব্লু-র মনোবল। এদিন নিউজিল্যান্ডের ম্যাকলিন পার্কের সবুজ গালিচায় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। লক্ষ্য ছিল বড় রানের ইনিংস গড়ে ভারতীয় ব্যাটিংকে বিপদে ফেলা। নিজেদের পিচে নিজেদের বোলারদের কামাল দেখানো। কিন্তু হল উল্টোটা। এদিন খেলার শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে নিউজিল্যান্ডের। কার্যত দলের দুর্দশা সামলাতে একাই লড়েন কেন উইলিয়ামসন। করেন ৬৪ রান। এরপরই কিউয়ি কোনও ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ স্কোর এদিন হয়েছে ২৪। যা করেছেন টেলর। এদিন নিউজিল্যান্ডের ৫ জন ব্যাটসম্যান এক অঙ্কের রানে আউট হন। ফলে ৫০ ওভারের ম্যাচ হলেও ৩৮ ওভারে ১৫৭ রান করেই গুটিয়ে যায় কিউয়ি ইনিংস।
একদিনের ক্রিকেটে ভারতের মত দলের সামনে এটা কোনও রানই ছিলনা। যদিও ডাকওয়ার্থ লুইসের নিয়মে পড়ে ১ ওভার বাদ যায় ভারতের ইনিংস থেকে। জয়ের জন্য রানও কমে। ৪৯ ওভারে ১৫৬ রান করলেই জিতবে, এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ১১ রান করে ও বিরাট কোহলি ৪৫ রান করে আউট হন। একা একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে আনেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। করেন অপরাজিত ৭৫ রান। ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রাইডুও। মাত্র ৩৪ ওভার ৫ বলেই জয়ের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ভারত। ৫ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
এদিন ভারতের বোলিং ছিল দেখার মতন। শুরু থেকে একেবারে পিচের প্রয়োজন বুঝে প্রতিটি বল হতে থাকে। চমকে দিয়েছেন মহম্মদ সামি। ৬ ওভার বল করে ২টি মেডেন নেন তিনি। বাকি ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দেন। তুলে নেন ৩টি উইকেট। শিখর ধাওয়ানের দুরন্ত ব্যাটিংকেও এদিন ঢেকে দিয়েছে সামির বিষাক্ত বোলিং। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও নির্বাচিত হন সামি। তবে এদিন উইকেট বেশি পেয়েছেন কুলদীপ যাদব। ১০ ওভার পুরো বল করে তোলেন ৪ উইকেট। তবে রান দেন ৩৯। শুরুতেই ভারতের এমন পারফরমেন্স কিন্তু নিউজিল্যান্ডের নিজের মাঠেও তাদের শিরদাঁড়ায় হিমস্রোত বইয়ে দিয়েছে।