দাঁড়াতেই পারল না নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিং, বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই কিউয়িদের তাদের মাঠেই দুরমুশ করল ভারত। ফলে সিরিজে এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে। এদিন নিউজিল্যান্ড হারে ৯০ রানে। এদিন বে ওভালের মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। সাবধানী শুরুর পর হাত খোলেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ২ ওপেনারের দুর্দান্ত শুরুই বুঝিয়ে দিয়েছিল এদিন ভারতের পাল্লা ভারী। ভারতের প্রথম উইকেট ফেলতেই নিউজিল্যান্ড বোলারদের ২৫ ওভার লেগে যায়। ততক্ষণে ১৫৪ রান দলের খাতায় যোগ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় প্রথম উইকেট পড়ে শিখর ধাওয়ানের। তিনি করেন ৬৬ রান। ব্যক্তিগত ৮৭ রানের মাথায় আউট হন রোহিত শর্মা। হাল ধরেন বিরাট ও রাইডু। বিরাট ৪৩ রান করে ফেরার পর ধোনির সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের গতি বাড়ান রাইডু। তিনি আউট হন ৪৭ রানে। স্লগ ওভারে দারুণ খেলে অপরাজিত থেকে ৫০ ওভার শেষ করেন ধোনি (৪৮) ও কেদার যাদব (২২)। ভারত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩২৪ রান।
পাহাড় প্রমাণ রান তাড় করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড় করতে থাকে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং লাইনআপ। নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। এত বড় রান তাড়া করার চাপ যে তাঁরা নিতে পারছিলেন না তা কিউয়িদের উইকেট পতন থেকেই পরিস্কার। গুপটিল (১৫), মুনরো (৩১), অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২০), টেলর (২২), ল্যাথাম (৩৪), নিকোলস (২৮), গ্র্যান্ডহোম (৩) কেউই দলকে জিতিয়ে আনার মত রান দলের খাতায় যোগ করতে পারেননি। একমাত্র লড়াই দেন ব্রেসওয়েল। ৫৭ রান করেন তিনি। কিন্তু ৩২৫ তাড়া করতে নেমে কেবল একজনের ব্যাট থেকে রান আসা যথেষ্ট ছিলনা। ফলে ৪০.৩ ওভারে ২৩৪ রান করে সব উইকেট পড়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। ৯০ রানে পরাজিত হয় তারা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ২টি ম্যাচই জিতে নিল ভারত। আর একটা জিতলেই সিরিজ পকেটে। অন্যদিকে নিজেদের মাঠেও ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে পুরো ৫০ ওভার ২টি ওয়ানডে-তেই খেলে উঠতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। এদিন একা কুলদীপ যাদবই নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে নেন। তবে এদিন ব্যর্থ প্রথম ওয়ান ডে-র নায়ক সামি। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন রোহিত শর্মা।