৫ ম্যাচের একদিনের সিরিজ। তারমধ্যে প্রথম ৩টি একদিনের ম্যাচ হয়ে গেল। আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ৩টে ম্যাচই জিতে নিল ভারত। ফলে ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল মেন ইন ব্লু। এখন তাদের লক্ষ্য হোয়াইট ওয়াশ। তাও আবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে।
সোমবার তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ৪২ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় বিরাট বাহিনী। মাউন্ট মঙ্গানুই-এর বে ওভাল-এর সবুজ গালিচায় এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। পাহাড় ঘেরা মনোরম পরিবেশ। সেখানে শুরু থেকেই ভারতীয় বোলারদের দাপট শুরু হয়। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের নিয়মিত উইকেট পতন চলতে থাকে। গুপতিল (১৩), মুনরো (৭) এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২৮) ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন টেলর ও ল্যাথাম। খেলার চাকা এবার কিছুটা হলেও নিউজিল্যান্ডের দিকে ঘোরে। অনেকেই মনে করতে শুরু করেছিলেন যে এদিন ভারতের জয় প্রথম ২টি ম্যাচের মত সহজ হবে না। কিন্তু সেখানেই জুটি ভেঙে ম্যাচের মোড় ফের ঘুরিয়ে দেন যুজবেন্দ্র চাহল। ৫১ রানে ফেরান ল্যাথামকে। আর এটাই হয় ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ফের শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের উইকেট পতন।
নিকোলস (৬), স্যান্টনার (৩) পর পর আউট হওয়ায় টেলরের ধারাবাহিকতা ধাক্কা খায়। ফলে ৯৩ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেলে ফেরেন টেলর। এরপর ব্রেসওয়েল (১৫), সোধি (১২), ট্রেন্ট বোল্ট (২) ফিরতে থাকেন প্যাভিলিয়নে। গত ২টি একদিনের ম্যাচে পুরো ৫০ ওভার খেলে উঠতে পারেননি কিউয়িরা। তৃতীয় ম্যাচেও পারলেন না। ৪৯ ওভারেই সব উইকেট পড়ে যায় তাঁদের। রান ওঠে ২৪৩।
নিউজিল্যান্ডের জন্য এদিন ভারতের সব বোলারই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী চেহারা নেন মহম্মদ সামি। ৯ ওভার বল করে ৪১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।
২৪৪ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে ভারতের কোনও তাড়াহুড়োর প্রয়োজন ছিলনা। যদিও সে রাস্তায় হাঁটেনটি ব্যাটসম্যানেরা। শুরুতেই চার হাঁকাতে শুরু করেন শিখর ধাওয়ান। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৮ রান করে ফেরার পর রোহিত ও বিরাট জুটি বাঁধেন। এই জুটিই খেলার ভিত ও ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়। রোহিত করেন ৬২ রান। বিরাট ৬০ রান। এঁরা ২ জন ফেরার পর রাইডু ও দীনেশ কার্তিক ম্যাচের হাল ধরেন। এঁরাই দুরন্ত ব্যাটিং করে খেলা শেষ করেন। কার্তিক করেন ৩৮ রান। রাইডু ৪০। ২ জনেই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে আনেন। চতুর্থ একদিনের ম্যাচ আগামী বৃহস্পতিবার।