এদিন কী হেরেই মাঠে নেমেছিল ভারত? নাকি অতি দম্ভে দর্পচূর্ণ? প্রতিপক্ষকে ধর্তব্যের মধ্যেই না ধরার খেসারত গুনতে হল ভারতকে? উত্তর মেলা কঠিন। তবে বিরাট কোহলি আর মহেন্দ্র সিং ধোনি না থাকলে একটা দোর্দণ্ডপ্রতাপ দলের যে এমন দৈন্যদশা হতে পারে তার জলজ্যান্ত সাক্ষী হয়ে রইল নিউজিল্যান্ডের হ্যামিলটনের সেডন পার্কের সবুজ গালিচা।
এদিন টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। বিরাট না থাকায় এদিন রোহিত শর্মা ছিলেন অধিনায়ক। তিনি যেমন শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে নামেন তেমনই নামেন। কিন্তু শুরু থেকেই নড়বড় করতে থাকে ভারতীয় ব্যাটিং। বিশেষত বোল্ট, গ্র্যান্ডহোমের বিষাক্ত বোলিংয়ের সামনে কেমন যেন আত্মসমর্পণ করে দেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা।
মাত্র ৩৫ রানে করতেই ৬ উইকেট হারায় ভারত। দলের ৩৩ রানের মাথায় পড়ে ৩টি উইকেট। ধাওয়ানের ১৩ রান ছাড়া উপরের দিকের একজন ব্যাটসম্যানও ২ অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
রোহিত (৭), শুভমান গিল (৯), কেদার যাদব (১) ফেরেন তবু খাতা খুলে। আম্বাতি রাইডু ও দীনেশ কার্তিক ফেরেন ০ রান করে। কার্যত ভারতীয় বোলাররা রানটাকে তবু কিছুটা টেনে নিয়ে যান। হার্দিক (১৬), কুলদীপ (১৫) ও চাহল (১৮) না করলে ভারতের অতি শোচনীয় হাল হত।
এদিন ভারতের সব উইকেট পড়ে যায় ৯২ রানে। এখানে বলে রাখা ভাল যে ভারতীয় ইনিংসে সর্বাধিক রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহল। এটাও হয়তো ভারতীয় ইনিংসে রেকর্ড হয়ে থাকবে। বোল্ট একাই তোলেন ৫ উইকেট। গ্র্যান্ডহোম ৩ উইকেট।
মাত্র ৯৩ রান করেই জিতবে। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪ ওভার ৪ বল খেলে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। আউট হন গুপতিল (১৪) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১১)। ২টি উইকেটই নেন ভুবনেশ্বর কুমার। নিকোলস ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। টেলর ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন বোল্ট। সিরিজ হারার পরও এদিনের দুরন্ত জয় নিউজিল্যান্ডের ক্ষতে অনেকটাই প্রলেপ দিল।