বিরাট কোহলি দলে নেই। বিশ্রামে রয়েছেন। ফলে দলের নেতৃত্বে রয়েছেন রোহিত শর্মা। দলে রয়েছেন ধোনির মত ঠান্ডা মাথার গেম প্ল্যানার। তবু টি-২০ সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল ভারত। একেবারে গো হারান হারল মেন ইন ব্লু। ৩ ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে রীতিমত চাপে পড়ে গেল ভারত।
একদিনের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে জিতে নেওয়ার পর এবার টি-২০ সিরিজ। এটাও জিততে বদ্ধপরিকর ভারতীয় দল এদিন টস জিতে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায়। এটাই কী কফিনে প্রথম পেরেকটা পুঁতে দিয়েছিল? ক্রিকেট বোদ্ধাদের একটা অংশ কিন্তু মনে করছেন টস জিতে ওয়েলিংটনের পিচে ব্যাটিং নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ ছিল। এদিকে একদিনের সিরিজ হেরে খোঁচা খাওয়া বাঘের মত এদিন মাঠে নামে নিউজিল্যান্ড।
শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন সিফার্ট ও মুনরো। বিশেষত সিফার্ট। বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে শুরু করেন তিনি। তাঁর দাপটে ভারতীয় বোলাররা কার্যত ছন্দ হারান। মুনরো ৩৪ রান করে ফেরার পর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ভাল সঙ্গত দেন মারমুখী সিফার্টকে। মাত্র ৪৩ বল খেলে ৮৪ রান করেন সিফার্ট। ৬টা ছক্কা ও ৭টি চার হাঁকান তিনি। কার্যত এদিন নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়ে দেন সিফার্ট। তারপরও হয়তো কিউয়িদের ২০০ রানের মধ্যে বাঁধা যেত। কিন্তু সেই আশা শেষ ২ ওভারে শেষ করে দেন বিধ্বংসী কুগেলেইন। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ২১৯ রান।
২০ ওভারের ম্যাচে এটা পাহাড় প্রমাণ রান। ২২০ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়ে। এদিন কার্যত কোনও লড়াইই ভারতীয় দল দিতে পারেনি। কেউই গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দিতে পারেননি। রোহিত (১), ঋষভ (৪), কার্তিক (৫), হার্দিক (৪) আউট হয়ে ফেরেন দ্রুত। ধাওয়ান ফেরেন ২৯ রানে। বিজয় শঙ্কর ২৭ রানে। চাপের রান তাড়া করতে গেলেই ভারতীয় দলের দুর্দশা যে সামনে এসে পড়ছে তা এদিনের ব্যাটিং ধস থেকেই পরিস্কার। তবু কিছুটা হলেও লড়াই দেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া (২০) ও ধোনি (৩৯)। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ভুবনেশ্বর কুমার ও চাহল ১ রান করে করেন। ভারত ১৯ ওভার ২ বল খেলে ১৩৯ রান করে অল আউট হয়ে যায়। ৮০ রানে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয় তাদের। ম্যাচের সেরা হন টিম সিফার্ট।