
সুরটা বেঁধে দিয়েছিল রোহিতের দুরন্ত ৮২ আর বিরাটের ৪৫। আর সেই বাঁধা তারে সুর বসালেন ঋদ্ধিমান। ৩৯ রানে অপরাজিত অবস্থায় যখন দিনের মত খেলা শেষ হল তখন ভারতের ৮ উইকেট পড়ে গেছে। তবে স্কোর বোর্ডে মোট রান ২২৭। নেহাত কম নয়। চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। কিন্তু এদিন যখন ১০০ রান না পার করতেই ভারতের ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তখন কেউই ভাবেনি ২২৭ রানে আদৌ পৌঁছতে পারবে ভারত। বাহবার প্রধান ভাগিদার অবশ্যই রোহিত। তবে বিরাট আর ঋদ্ধি না থাকলে একা রোহিতে রক্ষা হতনা ভারতের। রাত পোহালে চতুর্থ দিনের খেলা। স্কোর বোর্ডে যতটা সম্ভব রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডকে ইডেনের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে পাঠাবে ভারত। লিড এখনই ৩৩৯ রান। ফলে কাজটা কঠিনই নয়, প্রায় দুঃসাধ্য কিউয়িদের কাছে। ফলে সব ঠিকঠাক এগোলে ম্যাচ ভারতের। এদিন সকালে কিউয়িদের প্রথম ইনিংস ২০৪ রানেই শেষ হয়ে যায়। ফলে প্রথম ইনিংসেই ১১২ রানের লিড জুটে গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। বিরাট কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু দলগত ৯১ রানের মাথায় তাঁকেও প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। তারপর খেলাকে একার কাঁধে টেনে নিয়ে যান রোহিত শর্মা। এই টেস্ট জিততে পারলে দেশের মাটিতে ২৫০তম টেস্টে জয়ের রেকর্ড গড়বে ভারত।