৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ জিতেই গিয়েছিল ভারত। শনি ও রবিবার পরপর ২টি টি-২০ জিতে ভারত ২-০-তে সিরিজ জিতে নেয়। বাকি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেই তাদের হোয়াইটওয়াশ করা। তাও আবার অপেক্ষাকৃত ভারতের তরুণ ব্রিগেডকে নিয়ে। যাঁদের অনেকেরই খুব একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু তার ছাপ খেলায় পড়ল না। পেশাদার ক্রিকেট খেলেই পরপর ৩ ম্যাচই জিতে নিল ভারত। ৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। জেতে ৭ উইকেটে।
মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ টি-২০-তে টস জিতে প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। উল্লেখ্য ৩টি টি-২০-তেই টস জিতল ভারত। ব্যাট করতে নেমে দলগত ১৪ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। লিউইস (১০), নারিন (২) ও হেটমায়ার (১) ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন অভিজ্ঞ পোলার্ড ও পুরান। পুরান একদিকে উইকেট আঁকড়ে ধরে রাখেন। আর অন্যদিকে চালিয়ে খেলতে থাকেন পোলার্ড।
এদিন কার্যত বিধ্বংসী চেহারা নেয় পোলার্ডের ব্যাট। ৪৫ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। মারেন ৬টি ছক্কা ও ১টি চার। পুরান ১৭ করে ফেরার পর পোলার্ড কিছুক্ষণ জুটি বাঁধেন পাওয়েলের সঙ্গে। পোলার্ড ফেরার পর ব্রেথওয়েট ১০ রান করে ফেরেন। পাওয়েল শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে করেন ৩২ রান। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
খুব বিশাল রান নয়। ১৪৭ তাড়া করতে নেমে কিন্তু ধাওয়ান ৩ রানে ও কেএল রাহুল ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ম্যাচের হাল ধরেন কোহলি ও ঋষভ পন্থ। ২ জনেই এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের জন্য ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। প্রথম ২টি ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর এদিন কিন্তু পন্থ নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। কোহলি-পন্থ যুগলবন্দিতেই ম্যাচ কার্যত বার করে নেয় ভারত। কোহলি ৫৯ রান করে ফেরেন। তখন জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৪ রান। যা পন্থ ও মণীশ পাণ্ডে মিলে তুলে দেন।
৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। পন্থ অপরাজিত থাকেন ৬৫ রান করে। মণীশ ২ রান করে থেকে যান। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজের সবকটিতেই জয়ী হল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-২০-তে হোয়াইটওয়াশ করে দিল তারা। এদিন ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রীতিমত চমক দিয়েছেন দীপক চাহর। ৩ ওভার বল করে ১টি মেডেন নিয়ে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। যাকে বিধ্বংসী বললেও কম বলা হয়।