টি-২০ সিরিজের পর একদিনের সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই দেশে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। পোর্ট অফ স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে টস জিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় রান করে ভারতকে চাপে ফেলাই ছিল উদ্দেশ্য। চাপের মুখে ভারত হারলে সিরিজ ১-১ ড্র হতে পারত। কারণ সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেছে।
অন্য ম্যাচে ভারত জিতেছিল। ফলে তৃতীয় ম্যাচ ২ দলের জন্যই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ভারতকে সিরিজ জিততে এই ম্যাচ জিততেই হত। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজে ড্র করতে জিততে হত। এই অবস্থায় বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মের আওতায় পড়ে যায়। আর সেই ম্যাচে বিরাট কোহলি আর শ্রেয়স আইয়ারের বিধ্বংসী ব্যাট ভারতকে জয় এনে দেয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ছিল মারমুখী মেজাজে। এদিন আবার গেইলের ব্যাট কথা বলতে শুরু করে। গেইলের ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এদিন প্রথম ১০ ওভারে গেইল ও লিউইসের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভারতীয় বোলিংকে ছারখার করে দলগত শতরানের গণ্ডি পার করে। রান রেট ১০ রানের ওপর চলে যায়। এমন ঝোড়ো শুরু একটা দলের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। সেটাই হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে।
লিউইস ৪৩ ও গেইল ৭২ রান করে ফেরার পর হোপ (২৪), হেটমায়ার (২৫), পুরান (৩০), অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (১৪) দলের খাতায় রান যোগ করতে থাকেন। ব্রেথওয়েট ১৬ রান করেন। বৃষ্টিতে পুরো সময় অর্থাৎ ৫০ ওভার পুরো খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৫ ওভার খেলে তারা তোলে ২৪০ রান। খারাপ আবহাওয়া ও প্রবল বৃষ্টির জেরে ভারত পড়ে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মের কোপে। ফলে ভারতকে ৩৫ ওভারেই জিততে গেলে ২৪১ রান নয়, করতে হবে ২৫৫ রান বলে স্থির হয়।
বিশাল রানের পিছনে ধাওয়া করতে নেমে মারমুখী ব্যাটিং ছাড়া রাস্তা ছিলনা রোহিত, শিখরের সামনে। রোহিত ১০ রানে আউট হন। শিখর ধাওয়ান করেন ৩৬ রান। যা এই ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই মধ্যে ঋষভ পন্থ ০ রানে ফেরায় চাপ আরও বাড়ে। এই অবস্থায় ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিতে শুরু করেন শ্রেয়স আইয়ার। এঁদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জেরে ম্যাচের ভোল বদলাতে থাকে। খেলা ক্রমশ ভারতের দিকে ঝুঁকতে থাকে।
শ্রেয়স করেন ৬৫ রান। শ্রেয়স যখন ফেরেন তখন খেলা অনেকটাই নিজেদের দিকে এনেছে ভারত। এই অবস্থায় কেদার যাদব বিরাটকে দারুণ সঙ্গত দিতে থাকেন। বিরাট শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ১১৪ রান করেন। কেদার অপরাজিত থাকেন ১৯ রান করে। ভারত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ৫ বল বাকি থাকতেই। ম্যাচ জেতে ৬ উইকেটে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন বিরাট কোহলি। ৩টি একদিনের ম্যাচের ৩টিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সেঞ্চুরি হাঁকালেন বিরাট। ভারত এই জয়ের হাত ধরে একদিনের সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।