ভারতকে কার্যত দাঁড়াতেই দিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। তাও মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে। ভারতের বিশাল ব্যাটিং লাইনআপ এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দেখে মনে হয়েছে হয় তাঁরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে ভুগছেন। নয়তো তাঁরা খেলার ঠিক মুডে নেই! যেমন খুশি শট, বেপরোয়া ব্যাট চালানো, এগুলো বোধহয় আন্তর্জাতিক স্তরে খেলা যায়না। যা এদিন অনায়াসে খেলে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। আউট হয়ে হাসিতে মাতলেন। ছক্কার পর ছক্কা খেয়েও বোলারদের হেলদোল নেই। দিনটা হয়তো ভারতের জন্য হারা নিশ্চিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে জেতে ম্যাচ। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হবেন। কিন্তু তাঁর ব্যাটিংয়ের চেয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ফাটল ধরানো বোলার ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেওয়া বুরান হেনড্রিক্সকে গুরুত্ব দিয়েছেন নির্বাচকরা।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রবিবার সন্ধেয় টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেনে বিরাট কোহলি। ওপেন করতে নেমে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান বিধ্বংসী শুরু করেন। রোহিত শর্মা সেট হতে একটু সময় নেন। তারপর মারতে শুরু করেন। কিন্তু নিজের সেই ধরন বদলে এখন নেমেই মারতে যাচ্ছেন তিনি। মারছেনও ২-৩ খানা চার, ছয়। কিন্তু তারপরই আউট হয়ে ফিরছেন। ফলে বড় রান পাচ্ছেন না রোহিত। এদিনও তাই হয়। রোহিত আউট হন ৯ রানে। তবে শিখর ধাওয়ানের ব্যাট কথা বলতে থাকে। বিরাট সে তুলনায় ছিলেন সংযত। হাত খুলে মারার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। বরং খান দুয়েক ক্যাচ তুলে ফেলেন তিনি। শিখর (৩৬) ও বিরাট (৯) এরপর দ্রুত ফেরেন। তারপরই ভারতের দুরন্ত রান রেট ক্রমশ পড়তে তাকে। শ্রেয়স ফেরেন ৫ রান করে। ঋষভ ১৯ রান। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ৪ রান করে ফেরেন। হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৪। জাদেজা করেন ১৯ রান। সব মিলিয়ে ভারত ২০ ওভার খেলে মাত্র ১৩৪ রান তোলে ৯ উইকেট হারিয়ে।
১৩৫ রান করলে জিতবে এই সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেনড্রিক্স দুর্দান্ত শুরু করেন। মেপে রান তুলতে থাকেন। যা তাদের দ্রুত টার্গেটের দিকে টেনে নিয়ে যাতে থাকে। সবচেয়ে বড় কথা উইকেট হারাতে দেয়নি প্রোটিয়ারা। হেনড্রিক্স যখন ২৮ রান করে ফেরেন তখন ১০ ওভার খেলা হয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা পার করেছে ৭৬ রান। কুইন্টন ডি কক ও বাভুমা দুরন্ত ক্রিকেট খেলে তুলে নেন বাকি রান। ডি কক ৭৯ করে অপরাজিত থাকেন। বাভুমা ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। সিরিজ ১-১ হয়ে শেষ হল।