বিশাখাপত্তনমে ভারতের দুরন্ত ব্যাটিং। ৫০২ রানে ডিক্লেয়ার-এর পর অনেকেই মনে করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল। বিশেষত ভারতের রান তাড়া করতে নেমে ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা ফলোঅন করবে বলেও ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু প্রোটিয়াদের সেই নড়বড়ে বেহাল দশা মুছে দিয়ে এলগার (১৬০), ডু প্লেসি (৫৫) ও অধিনায়ক ডি কক (১১১)-এর দুরন্ত লড়াই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় তৃতীয় দিনে। বিশেষত এলগারের লড়াইকে সকলেই তারিফ করছেন। একদম খাদের কিনারা ছোঁয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে যেভাবে তিনি ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়েছেন তা অসাধারণ।
দ্বিতীয় দিনের শেষেও যাঁদের মনে হচ্ছিল এই খেলা জেতার জন্য ভারতকে ৫ দিন অপেক্ষা করতে হবেনা, এখন তাঁদের অনেকেই মনে করছেন ম্যাচ অমীমাংসিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তৃতীয় দিনের খেলার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৮৫ রান। এখনও ভারতের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে আছে তারা। হাতে রয়েছে ২ উইকেট। তবে ২ জনেই শেষের দিকের ব্যাটসম্যান। ফলে চতুর্থ দিনে তাঁরা বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারবেন না বলেই মনে করছেন অনেকে।
ভারত যদি কিছু রানে এগিয়ে থেকেও খেলা শুরু করে। তাহলে দিনটা খেলে ৩০০ রানের ফারাক তৈরি করে তারা দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করতে পারে। ডিক্লেয়ার চতুর্থ দিনের শেষের দিকেই করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে শেষ বিকেলে খারাপ আলোয় হয়তো প্রোটিয়াদের নাইট ওয়াচম্যান নামাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওদিনই উইকেট তুলে চাপ তৈরির চেষ্টা শুরু করবে ভারত। এখন দেখার চতুর্থ দিনের খেলা কোন দিকে গড়ায়।