যে খেলোয়াড়টিকে টেস্টে ওপেন না করিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কোণঠাসা করে রাখত সেই রোহিত শর্মাই কিন্তু চুপচাপ গড়ে দিলেন ভারতের জয়ের ভিত। যে ভিতকে আরও শক্তপোক্ত করল মহম্মদ সামি, অশ্বিন, জাদেজার বোলিং। আর প্রথম ইনিংসে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ব্যাটিং। কিন্তু দলটার জয়ে যদি অ্যাংকর রোলটা কেউ প্লে করে থাকেন তবে তিনি রোহিত শর্মা। ২ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কার্যত নিঃশব্দে টিম ম্যানেজমেন্টের মুখে ঝামা ঘষে দিলেন তিনি। আর মাঠে জবাব দেওয়ার চেয়ে ভাল জবাব যে হতে পারেনা তা আর কে না জানেন।
বিশাখাপত্তনম টেস্টে ভারত পঞ্চম দিনে জিতল ২০৩ রানে। চতুর্থ ইনিংসে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপকে কার্যত দাঁড়াতেই দিল না ভারতীয় বোলিং আক্রমণ। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৯৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। সেই রান তাড়া করতে নেমে এদিন সকাল থেকেই একের পর এক উইকেট পতন হতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম ইনিংসের ৩ নায়ক এলগার, ডি কক ও ডু প্লেসি চতুর্থ ইনিংসে ডাহা ফেল। প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান করা এলগার করেন ২ রান। প্রথম ইনিংসে ১১১ করা ডি কক ০ রান করে ফেরেন। ডু প্লেসি প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৫৫ রান, এবার তা কমে দাঁড়াল ১৩ রানে।
চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ জন ব্যাটসম্যান ০ রানে ফেরেন প্রোটিয়াদের। যারমধ্যে রয়েছেন বাভুমা, ডি কক, মহারাজ ও ফিল্যান্ডার। ৩৯৫ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৯১ রান করেই সব উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত জেতে ২০৪ রানে। প্রথম ইনিংসে যদি ৭ উইকেট নিয়ে একা অশ্বিন প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন, তবে এবার তাদের শেষ করে দিল মহম্মদ সামির বিষাক্ত বোলিং। একা সামিই ৫ উইকেট তুলে নেন। কম যাননি জাদেজাও। জাদেজা তুলে নেন ৪ উইকেট। বাকি ১টি উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মা।