দলের স্বার্থে ডিক্লেয়ার না করলে শুক্রবার ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৩০০ রানটাও হয়তো করা হয়ে যেত। ২৫৪ রানে অপরাজিত অবস্থায় তিনি ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন। পুনে টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষের দিকে বিকেলের আলোকে কাজে লাগিয়ে কিছু উইকেট তুলে নেওয়া ছিল ভারতের লক্ষ্য। বহু পুরনো ক্রিকেট কৌশল। আর তা এদিন ভরপুর কাজ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দিনের শেষে ৩৬ রান করতেই ৩টি উইকেট বিসর্জন দিয়েছে। ফলে ম্যাচে চালকের আসনে ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষেই ম্যাচের ললাট লিখন অনেকের কাছে স্পষ্ট।
পুনে টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভেল্কি দেখান মায়াঙ্ক আগরওয়াল। রোহিত এবার প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। ১৪ রানে ফেরেন তিনি। তবে মায়াঙ্ক কিন্তু ১০৮ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলে ভারতের শুরুটা মজবুত করে দেন। আর তারপরই হাল ধরেন বিরাট কোহলি। ৩৩টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তাঁকে সঙ্গতও দেন পূজারা (৫৮), রাহানে (৫৯)। একটুর জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন জাদেজা। তিনি ৯১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
জাদেজা যখন আউট হন তখন চা পানের বিরতিও হয়ে গিয়েছে। বিরাট খেলছেন ২৫৪ রান করে। সেই অবস্থায় জাদেজা আউট হতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন বিরাট। দলের স্বার্থে কার্যত এদিন তিনি ৩০০ রানের হাতছানি ত্যাগ করেন। তবে এদিন যে রান তিনি করেন তা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে টেস্টে সর্বাধিক। এখনও পর্যন্ত ২৫টি সেঞ্চুরি হয়েছে বিরাটের। এদিন তো ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি।
৬০১ রান করে ভারত ডিক্লেয়ার করার পর তাড়া করতে নেমে শেষ বিকেলে পরপর ৩টি উইকেট হারিয়ে পুনে টেস্টে কার্যত কোণঠাসা অবস্থায় পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এলগার ৬ রান করে, মারক্রাম ০ রান করে এবং বাভুমা ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। ক্রিজে রয়েছেন ব্রুন ও নোজে। দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৩৬ রান। ফলে ভারত যে এই টেস্টে এখন শাসন করছে তা বলাই বাহুল্য।