পাহাড় প্রমাণ রান তৈরি করেই ডিক্লেয়ার করেছিল ভারত। সেটা ছিল দ্বিতীয় দিনের শেষের দিকে। আর সেই রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনের পুরো সময় খেলার আগেই তারা ইনিংসে ম্যাচ হারল। ২ ইনিংস মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পুনে টেস্টে যা তুলল তাতে তখনও ভারতের রান ছুঁতে ১৩৭ রান দরকার ছিল তাদের। ম্যাচের সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি। তাঁর অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরি তথা ২৫৪ রানে অপরাজিত থাকা ভারতকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেয়। আর সেটাই দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভয়ংকর হয়ে গেল।
দ্বিতীয় দিনের শেষের দিকে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ৬০১ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে ভারত। চাপটা তখনই তৈরি হয়েছিল। বিকেলের আলোয় ব্যাট করতে নেমে ওদিনই মাত্র ৩৬ রান করে ৩টি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। পরিস্কার হয়ে যাচ্ছিল ভবিষ্যৎ। তবে লড়াই তখনও বাকি ছিল। যে কেউ দাঁড়িয়ে যেতে পারতেন দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু তা বাস্তবে হয়নি। তাদের প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক ডু প্লেসির ৬৪ রান ও মহারাজের ৭২ রান বাদ দিলে কেউই দলের জন্য তেমন কোনও রান খাতায় যোগ করতে পারেননি। প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৭৫ রানে। ফলে ফলোঅন পরিস্কার ছিল। আর বিরাট সেই ফলোঅন করানও তাদের।
ফলোঅন করানোয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফের ব্যাট করতে নামতে হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও তথৈবচ অবস্থা। হয়তো লড়ার মনোবলটাই তারা হারিয়ে ফেলেছিল। অন্তত প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ে তেমনই মনে হচ্ছিল। এলগার ৪৮, বাভুমা ৩৮, ফিল্যান্ডার ৩৭ ও মহারাজ ২২ রান ছাড়া কেউ ২ অঙ্কের গণ্ডিও ছুঁতে পারেননি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও দ্রুত শেষ হয়ে যায় তাদের ১০ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ১৮৯ রান। তখনও ৬০১ ছুঁতে ১৩৭ রান বাকি ছিল। ফলে হারতে হয় তাদের। পঞ্চম দিনের খেলাই হল না। তার আগে চতুর্থ দিনের পুরোটা না খেলেই জিতে গেল ভারত।