ইদানিং টেস্ট ম্যাচ ৫ দিনের হলেও ভারত তা ৫ দিন ধরে খেলছে না। জিদ করে নয়। ৫ দিন খেলতেই হচ্ছেনা তাদের। তার আগেই জয় চলে আসছে হাতের মুঠোয়। শনিবার যেমনটা হল ইন্দোর টেস্টে। সোমবার পর্যন্ত টেস্ট চলার কথা ছিল। কিন্তু শনিবারেই খেলা শেষ করে দিল ভারত। পুরো ম্যাচটায় এমন একটাও মুহুর্ত এল না যেখানে মনে হতে পারে যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শুরু থেকেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোনও বিভাগেই ভারতের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেনি তারা। টি-২০-তে তবু যে লড়াইটা বাংলাদেশের তরফে দেখা গিয়েছিল টেস্টে তার বিন্দুবিসর্গও চোখে পড়ল না।
ইন্দোর টেস্টে টস জেতে বাংলাদেশ। ব্যাটিং নেয়। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পড়শি দেশের ব্যাটসম্যানেরা। নিয়মিত উইকেট পতন রুখতে পারেনি তারা। মুশফিকুর রহিম সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫০ রানে। তাও প্রথম দিনের পুরো দিনের খেলা শেষ হওয়ার অনেক আগেই। সেখানেই ভাগ্য লিখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। ব্যাট করতে নেমে এরপর ভারত রোহিত শর্মা (৬) ও বিরাট কোহলি (০)-র উইকেট হারায়। কিন্তু এর বাইরে মায়াঙ্ক আগরওয়াল (২৪৩), চেতেশ্বর পূজারা (৫৪), অজিঙ্কা রাহানে (৮৬), রবিন্দর জাদেজা (৬০)-র ভরসায় ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৯৩ রান। ইনিংস ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এটা ছিল দ্বিতীয় দিন।
প্রথম ইনিংসেই বিশাল রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে বাংলাদেশ। আর নেমেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। টপ অর্ডার ধসে পড়ার পর বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করে। সেই একা কুম্ভের মত মুশফিকুর রহিম ৬৪ রানের একটি ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাঁরই রান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এছাড়া লিটন দাস (৩৫) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (৩৮) কিছুটা লড়াই দেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৩ রানে। শনিবারই শেষ হয়ে যায় খেলা। ভারত জেতে ১ ইনিংস ও ১৩০ রানে। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ভারতের হয়ে ডবল সেঞ্চুরি করা মায়াঙ্ক আগরওয়াল।