ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ তিরুবনন্তপুরমে হেলায় জিতে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেইসঙ্গে সিরিজেও সমতা ফেরাল। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং এদিন ভাল হলেও ভারতের ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেল। যেভাবে এদিন ব্যাটিং বিপর্যয় দেখা গেছে, বলা ভাল তার চেয়েও বড় বিপর্যয় নজর কেড়েছে ফিল্ডিংয়ে। তাতে কিন্তু ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতার চেয়েও বড় হয়ে গেল ভারত যেন খেলাটা জিতিয়েই দিল তাদের। এতটাই জঘন্য ফিল্ডিংয়ের পরিচয় দিল ভারত। এদিন ৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮ উইকেটে জেতে তারা। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা লেন্ডল সিমন্স।
রবিবার জিতলেই সিরিজ ভারতের পকেটে। এই অবস্থায় এদিন টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায়। শুরু থেকেই কেমন যেন নড়বড় করছিল ভারতের বিশ্ববিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপ। কেউই যেন ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের সামনে এঁটে উঠতে পারছিলেননা। ১১ রান করে ফেরেন কেএল রাহুল। রোহিত শর্মা এদিনও ব্যর্থ। ১৫ রান দলের খাতায় যোগ করে তিনিও ফেরেন। শিবম দুবে বরং এদিন ভাল ব্যাটিং করেন। ৫৪ রান করেন তিনি। ৪টি ছক্কা হাঁকান। বিরাট কোহলি ফেরেন ১৯ রান করে উইলিয়ামসের বলে। সেই উইলিয়ামস যাঁকে আগের ম্যাচে পরচা কেটে নকল করেন বিরাট। শ্রেয়স আইয়ার ২টো ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ। এদিন ১০ রান করেন তিনি। জাদেজা ফেরেন ৯ রানে। বরং ঋষভ পন্থ ৩৩ রান করে দলের খাতায় কিছু রান যোগ করেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতও থাকেন তিনি। ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে তোলে ১৭০ রান।
১৭১ রান তাড়া করতে নেমে সিমন্স ও লিউইস খুব ভাল শুরু করতে পারেননি। ৫ ওভারে ২৬ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেখে তারা চাপে রয়েছে বলেই মনে হচ্ছিল। যদিও ততক্ষণে ভারত ২টি সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছে। ৫ ওভারের পর থেকে ক্যারিবিয়ানরা হাত খোলে। আর তাতেই ভারতের ফিল্ডিং তছনছ হয়ে যায়। পায়ের তলা দিয়ে বল গলে চার হতেও দেখা গেছে এদিন। পরের পর ক্যাচ ফস্কেছে ভারত। ফিল্ডিং দেখে ভারতীয় দলকে চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল। এটাই ভারত? এই দুরন্ত দলটা এত বল মিস করতে পারে? এত ক্যাচ ফস্কাতে পারে? অনেকেরই খেলা দেখতে দেখতে প্রশ্ন মনে জেগেছে।
লিউইস ৪০ রান করে ও হেটমায়ার ২৩ রান করে ফেরেন। কিন্তু স্তম্ভের মত দাঁড়িয়ে ৬৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে ম্যাচ বার করে নিয়ে যান লেন্ডল সিমন্স। ৪টি ছক্কা ও ৪টি চার মারেন তিনি। নিকোলাস পুরানও ১৮ বলে ৩৮ রানের একটা চোখ জুড়োনো মারকাটারি ইনিংস খেলেন। ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের ফল ১-১। সিরিজের শেষ ম্যাচ কার্যত ফাইনাল হয়ে দাঁড়াল।