Sports

বিধ্বংসী রোহিত, সঙ্গত রাহুলের, উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

একদম টি-২০ সিরিজের ছন্দে এগোচ্ছে একদিনের সিরিজও। ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল নির্ণায়ক। একদিনের ৩ ম্যাচের সিরিজেরও সেই একই অবস্থা হল। সিরিজ ১-১ হওয়ার পর এখন শেষ ম্যাচ কার্যত ফাইনাল। টি-২০-তে শেষ হাসি হেসেছে ভারত। একদিনের ক্রিকেটেও কী তাই হবে? সে উত্তর আগামী রবিবার মিলবে। তবে তার আগে যেমন একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। তারচেয়েও বেশি দাপট দেখিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। সৌজন্যে রোহিত শর্মার ম্যাজিক ব্যাট ও কেএল রাহুলের যোগ্য সঙ্গত। যার নিট ফল ১০৭ রানে জিতল ভারত। ম্যাচের সেরা হলেন রোহিত শর্মা।

বিশাখাপত্তনমে বুধবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার পুরনো রাস্তায় হাঁটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ম্যাচে এই ফর্মুলা তাদের সহজ জয় দিয়েছে। কিন্তু কায়রন পোলার্ডের হয়তো জানা ছিলনা দিন যার জয় তার। এদিন খেলতে নেমে ভারতের ওপেনিং জুটি রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল যেখানে দেশকে পৌঁছে দেন এবং যে গতিতে পৌঁছে দেন তাতে ওখানেই লেখা হয়ে যায় এদিনের ভারতের জয়ের ললাটলিখন। এদিন যখন কেএল রাহুল ১০২ রান করে আউট হন তখন ভারতের স্কোর ২২৭ রান। ৩৭ ওভার শেষ হয়েছে। এরপর কোহলি ব্যাট করতে নামলেও এদিন খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়।


রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বাঁধেন শ্রেয়স আইয়ার। দারুণ খেলে এই জুটি। এখান থেকে রোহিত শর্মার মেজাজ যেন আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ১৩৮ বলে ১৫৯ রান করেন রোহিত শর্মা। ৫টি ছক্কা ও ১৭টি চার মারেন তিনি। রোহিত ফেরার পর শ্রেয়স এবার ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। ক্যারিবিয়ান বোলিংকে তিনিও তছনছ করতে ছাড়েননি। শ্রেয়সের সঙ্গে এদিন সফল ঋষভ পন্থও। মাত্র ১৬ বল খেলে ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার হাঁকান তিনি। করেন ৩৯ রান। সমপরিমাণ চার, ছয় হাঁকিয়ে ৩২ বলে ৫৩ রান দলের খাতায় যোগ করে যান শ্রেয়স। শেষে কেদার যাদব ১৬ রান যোগ করেন। ৫০ ওভারের শেষে ভারত করে ৩৮৭ রান। যা একদিনের ক্রিকেটে ভারতের সেরা কয়েকটি রানের মধ্যে পড়ে।

৩৮৮ রান করতে হবে ৫০ ওভারে। এমন এক প্রায় অসম্ভব টার্গেট তাড়া করতে নেমে কিন্তু এদিন লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লিউইস ও হোপ জুটি ভাল শুরু করেন। ৩৮ রান করে ফেরেন লিউইস। এরপর যাঁর ওপর গোটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এত বড় রান তাড়া করতে ভরসা করছিল সেই হেটমায়ার নামেন। কিন্তু মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে ফেরেন। এরপর রোস্টন চেজ ৪ রান করে ফেরেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাপে পড়ে যায়। এখান থেকে হোপ ও পুরান জুটি নতুন করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য আশার সঞ্চার করতে থাকে।


পুরান ৫৭ বলে ৭৫ রান করে ফেরেন। ভারত অধিনায়ক যেমন এই ম্যাচে খালি হাতে ফেরেন, ঠিক তেমনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক পোলার্ডও এদিন খাতা খুলতে ব্যর্থ। ৭৮ রান করে এরপর ফেরেন হোপ। ১১ রানে ফেরেন জেসন হোল্ডার। জোসেফ নেমেই আউট হন। তিনিও শূন্য রানে ফেরেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২১০ রানে দাঁড়িয়ে থাকাকালীনই ৩টি উইকেট পড়ে। পিয়ের ফেরেন ২১ রানে। পল করেন ৪৬ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সব উইকেট হারায় ২৮০ রানে। ম্যাচ হারে ১০৭ রানে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button