শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশের মত অত সহজ হচ্ছেনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলা। বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে এর চেয়ে সহজে জয় পেয়েছে ভারত। কিন্তু নিজেদের মাটিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ ব্রিগেডের কাছ থেকে। ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও তাই শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফাইনাল। একদিনের ৩ ম্যাচের সিরিজেও তাই হয়ে দাঁড়াল। রবিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ কার্যত ফাইনাল। যে জিতবে সিরিজ তার। এই অবস্থায় মরণবাঁচন লড়াই লড়তে কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে নামছে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ সহজেই জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। ৮ উইকেটে জয় পেয়েছিল তারা। পরের ম্যাচে দারুণ প্রত্যাবর্তন করে ভারত। রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুলের চওড়া মারমুখী ব্যাট ও কুলদীপের ঘূর্ণিকে ভরসা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবার তারা দাঁড়াতে দেয়নি। ফলে ২ ম্যাচের শেষে ফলাফল ১-১। শেষ ম্যাচে এদিনই ঠিক হয়ে যাবে কারা একদিনের সিরিজ জিতে নিচ্ছে। এদিনও অবশ্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা টসকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কে টস জিতছে সেটা বড় ফ্যাক্টর হবে ম্যাচে বলে মনে করছেন তাঁরা।
একদিনের সিরিজ শুরুর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড বলেছিলেন তাঁদের দলের রণকৌশল তৈরি। তাঁরা ঠিক করে নিয়েছেন ভারতের মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে। তা যে তাঁরা তৈরি করেছিলেন তা প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়েও দেন ক্যারিবিয়ানরা। তবে তৃতীয় ম্যাচের আগে কোথাও হয়তো এগিয়ে রয়েছে বিরাটবাহিনী। কারণটা ক্যারিবিয়ান কোচ ফিল সিমন্স। তিনি মনে করছেন তাঁর ছেলেরা তৃতীয় একদিনের ম্যাচে আন্ডারডগ। তারমানে ফেভারিট বিরাটরা। তবে কী ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানসিক দিক থেকে হার ধরেই নামতে চলেছে? ক্রিকেট বোদ্ধারা মনে করছেন হেরেই মাঠে নামলে জয়ের আশা অনেকটাই কমে যায়। তার চেয়ে শেষ পর্যন্ত দিয়ে লড়ার মানসিকতা অনেক বেশি শক্তি দেয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা