ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেস্তে গেছে বৃষ্টির জন্য। বৃষ্টির পর দেখা যায় ঢাকা দেওয়া পিচও ভিজে গেছে। ফলে গ্রাউন্ডস্টাফদের ৫৩ মিনিট সময় দেন ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারা। তারমধ্যে রেডি করে দিতে বলা হয় মাঠ। যা সম্ভব হয়নি। পরে জানানো হয় চূড়ান্ত পিচ পরীক্ষা হবে রাত সাড়ে ৯টায়। সেই পরীক্ষার ২৪ মিনিট পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় যে ম্যাচ বাতিল। অর্থাৎ সাড়ে ৯টায় যদি পিচ বা মাঠ দেখে আম্পায়ারা ও ম্যাচ রেফারি সন্তুষ্ট হতেন তাহলে ম্যাচ শুরু হতেই পারত। আর সেখানেই এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এনেছেন অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি দেবজিৎ সাইকিয়া।
দেবজিৎবাবু দাবি করেছেন, রাত সাড়ে ৯টায় ছিল চূড়ান্ত মাঠ পরীক্ষা। সেসময় মাঠকে ঠিক অবস্থায় পেলে খেলা শুরু হতেই পারত। কিন্তু তার অনেক আগেই ৯টা বাজতেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান অনেক ক্রিকেটার। যেখানে তখনও মাঠের চূড়ান্ত পরীক্ষাই শেষ হয়নি, তার আগে মাঠ ছেড়ে কীভাবে ক্রিকেটাররা চলে যেতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেবজিৎবাবু। তাঁর প্রশ্ন, যদি ক্রিকেটাররা বেরিয়েই যাবেন, তাহলে সাড়ে ৯টায় মাঠ পরীক্ষা করেই বা কী লাভ হল!
রবিবার সন্ধে সাড়ে ৬টায় যেমন টস হওয়ার হয় গুয়াহাটির মাঠে। টস জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠান বিরাট কোহলি। খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল ঠিক ৭টায়। কিন্তু তার ঠিক আগে ৬টা ৫০ মিনিট থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। ১ ঘণ্টা ৩ মিনিট চলে এই ভারী বর্ষণ। তারপর মাঠে নেমে আম্পায়ারা ও ম্যাচ রেফারি দেখেন পিচ ঢাকা সত্ত্বেও পিচ ভিজে গেছে। আঙুল ওঠে মাঠের রক্ষণাবেক্ষণে থাকা আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা