শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে হেলায় জিতেছে ভারত। প্রথম ম্যাচ গুয়াহাটিতে বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়। ফলে ৩ ম্যাচের সিরিজের ২টি ছিল পড়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ ভারত জেতার পর শ্রীলঙ্কার সামনে সুযোগ ছিল শুক্রবার শেষ ম্যাচে সিরিজে সমতা ফেরানোর। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটিং, বোলিং ঝড়ের মুখে কার্যত খড়কুটোর মত উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা। আন্তর্জাতিক ম্যাচ হলেও শ্রীলঙ্কাকে শুক্রবার দাঁড়াতেই দিল না ব্লু ব্রিগেড।
টস জিতে শ্রীলঙ্কাই ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল। হয়তো প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার পরিণতি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটি শিখর ধাওয়ান ও কেএল রাহুল মাঠে ঝড় বইয়ে দেন। পুনের মাঠে ধাওয়ান ৫২ ও রাহুল ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে মজবুত জায়গা করে দেন। যদিও সঞ্জু স্যামসন ৬ রানে, ওয়াশিংটন সুন্দর ০ রানে, শ্রেয়স আইয়ার-এর ৪ রানে ফেরা ভারতকে বড় রানের ইনিংস গড়তে বাধা দেয়। কোহলি অবশ্য ২৬ রান করেন। শেষে মণীষ পাণ্ডে ও শার্দূল ঠাকুর জুটি ভারতকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করে দেয়। পাণ্ডে ৩১ রানে ও ঠাকুর ২২ রানে অপরাজিত থাকে। ভারত করে ২০২ রান।
২০৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে যেভাবে শ্রীলঙ্কা উইকেট হারাতে শুরু করে তাতে ম্যাচের ফলাফল খুব দ্রুত পরিস্কার হয়ে যায়। এমন ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট পরিকল্পনার অভাব বারবার নজর কেড়েছে এদিন। মিডল অর্ডারে ডি সিলভা (৫৭) ও ম্যাথিউজ (৩১) কিছুটা রান না তুললে শ্রীলঙ্কা এদিন আন্তর্জাতিক টি-২০-তে কম রানের রেকর্ড গড়তে পারত। শুরু থেকেই হঠকারী শট নিয়ে আউট হতে থাকেন শ্রীলঙ্কার গুণতিলকে (১), ফার্নান্ডো (৯), পেরেরা (৭)-রা।
মাঝে ম্যাথিউজ ও ডি সিলভা কিছুটা হাল ধরেন। তাঁরা ফিরতে ফের হুড়হুড় করে উইকেট পতন। রানই তুলতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ১ রানে ২ জন, ০ রানে ২ জন, ৯ রানে ২ জন, ৭ রানে ও ২ রানে ১ জন করে আউট হন। শ্রীলঙ্কা শেষ হয় ১২৩ রান করে। ভারত জেতে ৭৮ রানে। ম্যাচের সেরা হন শার্দূল ঠাকুর। সিরিজের সেরা হন নভদীপ সাইনি। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এবার ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম খেলা আগামী মঙ্গলবার। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত খেলবে ৩টি একদিনের ম্যাচের সিরিজ। তারপরই মেন ইন ব্লু উড়ে যাবে নিউজিল্যান্ডে।