নিজের দেশের মাটিতে ভারত যতটা স্বচ্ছন্দ, ততটাই বিদেশের মাটিতেও। এটাই তাদের মান বুঝিয়ে দেয়। একটা দল যে কতটা পেশাদারি, কতটা ছন্দে থাকে, প্রয়োজনে যে কেউ খেলা বার করে আনার ক্ষমতা ধরেন, এটা বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের মাঠে প্রমাণ করে দিল ভারত। সে দেশে গিয়ে বিশ্বকাপে রানার্স হওয়া দল নিউজিল্যান্ডকে হারানো সহজ কাজ নয়। কিন্তু সেটাই অতি সহজে করে দেখাল ভারত। তাও বিশাল রান তাড়া করে। ২০৪ রানের টার্গেট টি-২০-তে মাত্র ১৯ ওভারে সম্পূর্ণ করে তারা। ম্যাচের সেরা হন ভারতকে জয় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া শ্রেয়স আইয়ার।
টস জিতে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথমে কিউয়িদের ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। তাদের মাঠে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মুনরো, গাপটিল, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও টেলর। মুনরো করেন ৫৯ রান। গাপটিল ৩০, কেন ৫১ এবং টেলর ৫৪। টি-২০ ম্যাচে ৪ জন খেলোয়াড় যদি ভার রান দিয়ে দেন তাহলে দলের পক্ষে ২০০ রানের গণ্ডি পার করা খুব শক্ত হয়না। হয়ওনি। নিউজিল্যান্ড করে ২০৩ রান।
ম্যাচ জিততে ২০ ওভারে ২০৪ রানের টার্গেট নেহাত মুখের কথা নয়। তাও আবার নিউজিল্যান্ডের মাঠে। তাদের আবহাওয়ায়। যে মাঠে খেলে খেলে হাত পাকিয়ে ফেলেছেন কিউয়ি বোলাররা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। রোহিত শর্মা ফেরেন মাত্র ৭ রান করে। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন কেএল রাহুল ও বিরাট কোহলি। রাহুল ও কোহলির চওড়া ব্যাট গোটা মাঠ জুড়ে শাসন করতে থাকে। ৪ ও ৬ আসতেই থাকে। মাত্র ২৭ বল খেলে কেএল রাহুল করেন ৫৩ রান। যা ভারতকে জয়ের স্বপ্নে বিভোর করে।
রাহুল ফেরার পরই ফেরেন কোহলি। ৪৫ রান করে ফেরেন তিনি। এখানে দরকার ছিল ফের ম্যাচের হাল ধরার। আর সেই কাজটা করে দেন শ্রেয়স আইয়ার। জয়ের লক্ষ্যে কার্যত একাই ভারতকে টেনে নিয়ে যাতে থাকেন। সঙ্গত দিতে নেমে শিবম দুবে ফেরেন ১৩ রান করে। নামেন মণীশ পাণ্ডে। মণীশকে সঙ্গে করে শ্রেয়সের ব্যাট কিন্তু চলতে থাকে। চার, ছয় আসতেই থাকে। ২৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থেকে ১৯ তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতে নেন শ্রেয়স। মণীশ অপরাজিত থেকে করেন ১৪ রান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ আগামী ২৬ জানুয়ারি।