গত বছর এই দিনেই একদিনের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে তাদর মাঠে পরাজিত করেছিল ভারত। প্রজাতন্ত্র দিবসের উপহার দিয়েছিল ভারতবাসীকে। এবারও তাই হল। সেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। সেই নিউজিল্যান্ডের মাঠ। সেই ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচ। ফের ভারতের জয়। ফারাক কেবল একটাই। গত বছর একদিনের ম্যাচ জিতেছিল ভারত। এবার জিতল টি-২০ ম্যাচ।
টস জিতে এদিন অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ব্যাট করতে নামার পর থেকেই নড়বড় করছিল কিউয়িদের ব্যাট। শুরুটা গাপটিল ও মুনরো মিলে বেশ কিছুটা টানলেও ৩৩ রান করে গাপটিল ফেরার পর থেকেই নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে ধস নামে। দলের ৪৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পতন হয়। তারপর মুনরো ফেরেন ২৬ রান করে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ক্যাচ প্র্যাকটিস করানোর শট মেরে বল রবীন্দর জাদেজার হাতে তুলে দিয়ে ফেরেন। ১৪ রান করে ফেরেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। সিফার্ট ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে অনেকটা লড়াই দেন। টেলর করেন ১৮ রান। ১৩২ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের গোটা ইনিংস।
১৩৩ রান করলে জিতবে। ভারতীয় দলের এখন যা শক্তি তাতে ১৩২ রান তাদের কাছে কার্যত ছেলেখেলা ছিল। প্রথম বলে ৪ হাঁকিয়ে শুরু করেন রোহিত। যা রোহিত শর্মার স্বভাব বিরুদ্ধ। রোহিত শর্মা প্রথমে কিছু বল সেট হতে নেন। তারপর মারকাটারি। এদিন তা না করে শুরু থেকেই মারতে যান। ফলে প্রথম ওভারে ২টি ৪ হাঁকানোর পরই ক্যাচ তুলে ফেরেন। মাত্র ১১ রান করে ফেরেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু এদিনও সমান ঝলমলে কেএল রাহুলের ব্যাট।
গত ম্যাচের মত এই ম্যাচেও তিনি ভারতের অন্যতম ভরসার জায়গাটা ধরে রাখলেন। শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে করে ভারতকে জয় পর্যন্ত পৌঁছে দিলেন। পুরো ম্যাচ অপরাজিত থাকলেন। করলেন ৫০ বলে ৫৭ রান। আইয়ার ৩৩ বলে ৪৪ রান করে যখন ফেরেন তখন ভারতের জয় সময়ের অপেক্ষা। শিবম দুবে নেমে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারত ১৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয়। ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন কেএল রাহুল। এই জয়ের পর ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে গেল ভারত। বাকি ৩টি ম্যাচের ১টি জিততে পারলেই সিরিজ জিতে নেবে তারা।