একেই বোধহয় বলে ঘুরে দাঁড়ানো। তাদের মাটিতেই টি-২০ সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে দিয়েছিল ভারত। ৫ ম্যাচের ৫টাই জিতেছিল। তারই মধুর প্রতিশোধ নিল নিউজিল্যান্ড। টি-২০ হারের লজ্জা মুখে একদিনের সিরিজে ভারতকে মুছে দিল তারা। ৩ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ২টি ম্যাচ জিতে সিরিজ ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই পকেটে পুরল তারা। এবার তাদের লক্ষ্য একদিনের সিরিজে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করা। শনিবার অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ভারতকে ২২ রানে হারায় কিউয়িরা।
টস জিতে এদিন প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান বিরাট কোহলি। ব্যাট করতে নেমে গাপটিল-নিকোলস জুটি দুর্দান্ত একটা শুরু উপহার দেয় দলকে। নিকোলস ৪১ রান করে ফেরেন। এরপর ব্লান্ডেল নেমে ২২ রান করে তিনিও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। গাপটিল জুটি বাঁধেন টেলরের সঙ্গে। কিন্তু বেশিক্ষণ এই জুটি স্থায়ী হয়নি। গাপটিল ৭৯ রান করে আউট হয়ে যান। এখানেই ধস নামে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে।
এক এক করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন অধিনায়ক ল্যাথাম (৭), নিশাম (৩), গ্র্যান্ডহোম (৫), চ্যাপম্যান (১), সাউদি (৩)। ১৯৭ রানে ৮ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের এদিন হার প্রায় নিশ্চিত বলেই তখন ধরে নিয়েছিলেন ক্রিকেট বোদ্ধা থেকে ভারতীয় সমর্থকেরা। এমনকি নিউজিল্যান্ডের সমর্থকেরাও। কিন্তু এখান থেকেই খেলা নাটকীয় মোড় নেয়। টেলর এবার বোলার জ্যামিসনকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন দলকে বাঁচানোর লড়াই। যোগ্য সঙ্গত দিতে থাকেন জ্যামিসন। যে দলটা ১৯৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল, সেই দলকে একজন টেল এন্ডারের ভরসায় শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান টেলর। ৪১ ওভার ৩ বলে ৮ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভার শেষ করে ২৭৩ রান করে।
পড়ুন : পাহাড় প্রমাণ রান করেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারল ভারত
২৭৪ রান করতে হবে ৫০ ওভারে। মানে ৩০০ বলে। ভারতের মত ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দলের সামনে এটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ ছিলনা। হয়তো সেটাই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণ হয়েছিল। যার ফল হাতেনাতে পেল বিরাটবাহিনী। লজ্জার হার হারতে হল। এদিন মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট দিয়ে শুরু হয় ভারতের উইকেট পতন। মায়াঙ্ক ৩ রানে ফেরার পর পৃথ্বী শ ২৪ রান করে ফেরেন। বিরাট ১৫ রানে আউট হন। ফর্মে থাকা কেএল রাহুল ফেরেন ৪ রান করে। কেদার যাদব ফেরেন ৯ রান করে। ভারতের ব্যাটিংয়ে ধস নামে।
৯৬ রানে ৫ উইকেট হারানো ভারত প্রবল চাপে পড়ে যায়। এরমধ্যে শ্রেয়স আইয়ার কিছুটা লড়াই দেন। তবে তা যথেষ্ট ছিলনা। ৫২ রান করে তিনিও ফেরেন। শ্রেয়সের মত রবিন্দর জাদেজাও লড়াই দেন। কিন্তু যোগ্য সঙ্গত পাননি। অন্যদিকে তখন উইকেট পড়ার ধুম। শার্দূল ঠাকুর ১৮ রান করে ফেরেন। শার্দূল ফেরার পর কিন্তু খেলার মোড় কিছুটা হলেও ঘোরান জাদেজা ও নভদীপ সাইনি। ২ জনে মিলে খেলাকে জয়ের লক্ষ্যে টেনে নিয়ে যাওয়ার যথাসম্ভব চেষ্টা করেন। নভদীপ ফেরেন ৪৫ রান করে। এরপর চাহল ১০ রান করে ও শেষে জাদেজা ৫৫ রান করে আউট হন। ৯ বল বাকি থাকতেই ২৫১ রান করে শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস।