একেই হয়তো বলে মধুর প্রতিশোধ। টি-২০-তে ভারত তাদের ৫-০-তে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। আর তার পাল্টা একদিনের সিরিজে ভারতকে ৩-০-তে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল নিউজিল্যান্ড। ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই একদিনের সিরিজ জিতে নিয়েছিল তারা। এদিন ছিল তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। সেখানে ভারত নেমেছিল সম্মান রক্ষায় জয় ছিনিয়ে নিতে। আর হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জিততে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ হাসি কিন্তু কিউয়িরাই হাসল। ৫ উইকেটে ভারতকে হারিয়ে দেয় তারা। ১৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় তারা।
মঙ্গানুইয়ের বে ওভাল মাঠে টস জিতে এদিন ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। পরে ব্যাট করে তাদের সাফল্য থেকেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট হারায় ভারত। ১ রান করেন তিনি। তারপরেই মাত্র ৯ রান করে ফেরেন বিরাট কোহলি। এখান থেকে পৃথ্বী শ ও শ্রেয়স আইয়ার ম্যাচ ঘোরানোর চেষ্টা শুরু করলেও ৪০ রান করে ফেরেন পৃথ্বী। শ্রেয়সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ফর্মে থাকা কেএল রাহুল। এঁরাই দ্রুত রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন।
এদিনও স্বমহিমায় দেখা যায় রাহুলকে। শ্রেয়সও ভাল ব্যাট করেন। ৬২ রানে তিনি ফেরার পর মণীশ ও রাহুল খেলার হাল ধরেন। তাঁদের জুটি ম্যাচে ১০০ রানেও বেশি যোগ করে। ১১২ রান করে রাহুল যখন ফেরেন তখনও ভারতের সামনে ৩০০ রান করার সুযোগ ছিল। কিন্তু রাহুলের সঙ্গেই প্রায় ফেরেন মণীশও। তারপর জাদেজা, শার্দূলরা চেষ্টা করে ভারতের মোট রানকে ২৯৬-তে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করান।
চ্যালেঞ্জিং টোটাল তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড শুরুতেই বুঝিয়ে দেয় তারা আজ জিততে নেমেছে। তাদের ওপেনিং জুটি দলের রানকে ১০০-র ওপর তুলে নিয়ে যায়। গাপটিল ৬৬ রান করে ফেরেন। এদিন নিউজিল্যান্ড দলে ফিরে অধিনায়কত্ব সামলেছেন উইলিয়ামসন। তিনি নিকোলসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। উইলিয়ামসন ২২ রান করে ফেরার পর টেলর কিছুটা খেলেন। করেন ১২ রান। অন্যদিকে তখনও রান তুলে চলা নিকোলস তারপরই ফেরেন ৮০ রান করে। এবার দলের হাল ধরেন ল্যাথাম ও নিশাম। নিশাম অবশ্য ১৯ রান করে ফেরেন। এরপর ল্যাথাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম মিলে খেলাকে জয়ে পৌঁছে দেন। ল্যাথাম অপরাজিত ৩২ ও গ্র্যান্ডহোম অপরাজিত ৫৮ রান করেন। গ্র্যান্ডহোমের ২৮ বলে ৫৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস এদিন কিউয়ি ব্যাটিংকে অন্য মনোবল উপহার দিয়েছে। ম্যাচের সেরা হন হেনরি নিকোলস। সিরিজের সেরা হন রস টেলর।