নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েই জ্বলে উঠেছিল ভারত। নিউজিল্যান্ডকে তাদের দেশেই টি-২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে দেয় বিরাটবাহিনী। সেই আত্মবিশ্বাস বুকে নিয়ে একদিনের সিরিজ খেলতে নেমেই কিন্তু উলট পুরাণ শুরু হয়। এবার শুরু হয় হার। একদিনের সিরিজে পাল্টা ভারতকেই হোয়াইটওয়াশ করে দেয় নিউজিল্যান্ড। এবার টেস্টেও ভারতের সেই অবস্থা হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হল। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারত প্রথম ম্যাচ এদিন যেভাবে দাঁড়িয়ে হারল তাতে দ্বিতীয় ম্যাচে দুরন্ত কামব্যাক ছাড়া মুখরক্ষার আর জায়গা রইল না।
প্রথম টেস্টে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে খাতায় কলমে বিশ্বের একনম্বর ব্যাটিং লাইনআপ থাকা ভারত। প্রথম ইনিংসে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ৩৪ রান আর অজিঙ্কা রাহানের ৪৬ রান বাদ দিলে ভারতের আর কারও রান বলার মত নয়। মাত্র ১৬৫ রান করে শেষ হয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। এই বিপর্যয়েই মোটামুটি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে এই টেস্ট নিউজিল্যান্ডের।
ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ভাল শুরু করে। একাই ৮৯ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এছাড়া টেলর ৪৪, জ্যামিসন ৪৪, গ্র্যান্ডহোম ৪৩, ব্লান্ডেল ৩০ রান করেন। টেল এন্ডার হিসাবে পরিচিত নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বোলিংস্তম্ভ বোল্ট পর্যন্ত শেষে ২৪ বলে ৩৮ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের রান কিছুটা আরও বাড়িয়ে দেন। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৪৮ রানে।
১৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারত। মুখ থুবড়ে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ইনিংসেও মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ৫৮ রান বাদ দিলে আর কারও রানই উল্লেখের দাবি রাখে না। রাহানে করেন ২৯ রান। ঋষভ পন্থ করেন ২৫ রান। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৯১ রান করে। ফলে জয়ের জন্য ৯ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। সেই রান তুলতে নিয়ম রক্ষার্থে মাঠে নামে তারা। ১ ওভার ৪ বল খেলেই বিনা উইকেটে জয়ের জন্য ৯ রান তুলে নেন ব্লান্ডেল ও ল্যাথাম। ম্যাচের সেরা হন কিউয়ি বোলিং স্তম্ভ টিম সাউদি।