নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই ধস নেমেছিল ভারতীয় ব্যাটিংয়ে। লজ্জার হারের জন্য তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি প্রায় নিশ্চিত হয়েছিল। দিনের শেষে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড কোনও উইকেট না হারিয়ে তোলে ৬৩ রান। এরপর অনেকেই মনে করছিলেন নিউজিল্যান্ড বিশাল ইনিংস গড়ে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাবে। সেখানে ভারতের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল হবে। কারণ ভারত মাত্র ২৪২ রান করেই প্রথম ইনিংস শেষ করেছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর পর অবশ্য সেই ছবি বদলে যায়।
দ্বিতীয় দিনে ৬৩ রান স্কোর বোর্ডে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে কিন্তু বড় ধাক্কা খায় কিউয়ি ব্যাটিং লাইনআপ। নেমেই আউট হন ব্লান্ডেল (৩০)। তারপরই ৩ রান করে ফেরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। রস টেলর ১৫ ও প্রথম দিন থেকে একদিক ধরে দাঁড়িয়ে থাকা ল্যাথাম ৫২ রান করে ফেরেন। এরপর নিকোলস ১৪, ওয়াটিং ০, সাউদি ০ রান করে ফেরার পর রীতিমত চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৫৩ রানেই ৭ উইকেট হারায় তারা।
সেখান থেকে ফের নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও প্রথম দিনে ভারতের ৫ উইকেট তুলে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ করে দেওয়া বোলার জ্যামিসন। গ্রান্ডহোম করেন ২৬ রান। তবে জ্যামিসন প্রথম দিনে যদি কিউয়িদের বোলিং ত্রাস ছিলেন তো দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং ত্রাস হয়ে উঠলেন। জ্যামিসন একাই ৪৯ রান করে নিউজিল্যান্ডকে খেলায় ফেরান। ওয়াগনার করেন ২১ রান। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৩৫ রান করে।
ভারত প্রথম ইনিংসে ৭ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে দ্বিতীয় ইনিংসে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির শিকার হয় ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। তাসের ঘরের মত ধসে যায় একের পর এক উইকেট। পৃথ্বী শ ১৪ রানে, মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩ রানে, বিরাট কোহলি ১৪ রানে, চেতেশ্বর পূজারা ২৪ রানে, অজিঙ্কা রাহানে ৯ রানে ও উমেশ যাদব ১ রান করে ফেরেন। ভারতের ৬ উইকেট পড়ে যায় ৯০ রানে। এখানেই শেষ হয় দ্বিতীয় দিনের খেলা। ব্যাট করছেন হনুমা বিহারী ও ঋষভ পন্থ। ৯৭ রানে এগিয়ে আছে ভারত। তৃতীয় দিনে ভারতের শেষ ৪ উইকেটের কাঁধে এখন গুরু দায়িত্ব। ৯৭ রানের লিডকে তারা কত রানের লিডে টেনে নিয়ে যেতে পারেন তার ওপর নির্ভর করবে খেলার ভবিষ্যৎ।