অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সিরিজ খোয়াল ভারত
এ যেন প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। সেই টস জিতে ব্যাট। সেই পাহাড় প্রমাণ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে কিছুটা লড়াই দিয়েও ভারতের হার।
সিডনি : অস্ট্রেলিয়া সফর একদমই ভাল যাচ্ছে না ভারতের। পরপর ম্যাচে লজ্জার হার ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছে। প্রায় চেনা ছকেই পরপর ২টি ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল অজিরা।
নিজেদের মাঠে তারা যে কতটা শক্তিশালী তা ফের একবার প্রমাণ করল অস্ট্রেলিয়া। ২টি ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজ ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিল অজিরা। এদিন তারা ম্যাচ জিতে নেয় ৫১ রানে।
সিডনির মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে ঠিক এটাই হয়েছিল। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ঠিক আগের ম্যাচের মতই ফিঞ্চ ও ওয়ার্নার জুটি দলকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে থাকে। বড় রান যে এই ম্যাচেও আসতে চলেছে তা নিশ্চিত করে দেন ২ ওপেনার।
ফিঞ্চ এদিন ৬০ রান করে ফেরেন। ফিঞ্চ ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়ার্নার ৮৩ রান করে আউট হন। মাঠে তখন স্টিভ স্মিথ ও লাবুশেন। ২ জন দেখিয়ে দেন মিডল অর্ডারকে ঠিকঠাক ধরে রানের গতি বাড়াতে পারলে একটা দলের রান কোথায় পৌঁছে যেতে পারে।
প্রথম ম্যাচের মতই এই ম্যাচেও শতরান করেন স্মিথ। ১০৪ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর লাবুশেন ও ম্যাক্সওয়েল দলের রানকে শেষের দিকে চালিয়ে খেলে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে দেয়। লাবুশেন করেন ৭০ রান। ম্যাক্সওয়েল করেন ৬৩ রান। ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮৯ রানে শেষ হয় অজি ইনিংস।
প্রথম দিনের চেয়েও কিছুটা বেশি রানের চ্যালেঞ্জ। তাই শুরু থেকেই শিখর ধাওয়ান ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল জুটি চালিয়ে খেলতে শুরু করে। এদিন খেলা শুরুর পর শিখরের ২টি ক্যাচ ফেলেন অজিরা। কিন্তু তার পরেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শিখর। ৩০ রানে ফিরতে হয় তাঁকে।
শিখর আউট হওয়ার পরই ২৮ রান করে ফেরেন মায়াঙ্ক। এদিন মিডল অর্ডারে বিরাট কোহলি ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেছেন। শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে বিরাট দলের রানকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৮ রানের মাথায় শ্রেয়স ফেরায় সেই রান তোলাটা কিছুটা ধাক্কা খায়।
যদিও এরপর ব্যাট করতে নেমে শ্রেয়সের অভাব বুঝতে দেননি কেএল রাহুল। বিরাট এদিন ৮৭ বলে ৮৯ রান করে ফেরেন। রাহুল ও পাণ্ডিয়া এরপর চেষ্টা চালিয়ে গেলেও ওভার প্রতি প্রয়োজনীয় রান রেট যেখানে পৌঁছতে থাকে সেখানে তাঁরা পৌঁছতে পারেননি।
রাহুল ৭৬ রান করে ফেরেন। জাদেজা করেন ২৮ রান। ভারত এদিন ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৩৮ রান। হারে ৫১ রানে।