হোয়াইটওয়াশ হল না, শেষ ম্যাচে হারল ভারত
একদিনের সিরিজ অস্ট্রেলিয়া জিতলেও হোয়াইটওয়াশ হয়নি। শেষ ম্যাচ জিতেছিল ভারত। টি-২০ সিরিজে ঠিক তার উল্টোটা হল। সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচ হারল ভারত।
সিডনি : একদিনের সিরিজে প্রথম ২টি ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচটা জেতে ভারত। তবে সিরিজ জেতে অস্ট্রেলিয়া। তারপর ছিল টি-২০ সিরিজ। সেই ৩ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ২টি ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ফলে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই।
মঙ্গলবার সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার। কিন্তু সেটা হল না। টি-২০ সিরিজে আবার শেষ ম্যাচ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে শেষ ম্যাচে ১২ রানে হারায় তারা।
টস জিতে এদিন সিডনির মাঠে প্রথমে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠান বিরাট কোহলি। ব্যাট করতে নেমে ফিঞ্চ ০ রানে ফিরলেও ম্যাথু ওয়েড-এর ব্যাট চলতে থাকে। সঙ্গে স্টিভ স্মিথ সঙ্গত দিতে থাকেন।
ম্যাথুর তাণ্ডবে অজিদের রান দ্রুত বাড়তে থাকে। স্মিথ ২৪ রান করে ফিরলে ওয়েডের সঙ্গে ক্রিজে রানের গতি বজায় রাখেন ম্যাক্সওয়েল। এদিন ২টি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় ভারতের।
ডেঞ্জারম্যান ওয়েড-এর পায়ে নটরাজনের বল লাগে। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় ভারত রিভিউ নেয়। কিন্তু রিভিউ নেওয়ার জন্য বরাদ্দ ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে নেয়নি। তার চেয়ে বেশি সময় নেয়। যারফলে রিভিউ-র আবেদন বাতিল হয়। অথচ দেখা যায় রিভিউ পেলে ওটা আউট ছিল।
দ্বিতীয় যে সুযোগ হাতছাড়া হয় তা ছিল ম্যাক্সওয়েলের উইকেট। চাহালের বলে ম্যাক্সওয়েল বল তুলে ফেলেন আকাশে। সেই বল দস্তানাবন্দি করেন উইকেটরক্ষক কেএল রাহুল।
ম্যাক্সওয়েল প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটাও লাগান। কিন্তু তারপরই জানা যায় বলটা নো বল হয়েছে। জীবন ফিরে পান ম্যাক্সওয়েলের মত ভয়ংকর ব্যাটিং তাণ্ডব।
ম্যাক্সওয়েল শেষ পর্যন্ত ৫৪ রান করেন। আর ওয়েড করেন ৮০ রান। এঁদের হাত ধরে ১৮৬ রানে পৌঁছে যায় অজি ইনিংস।
১৮৭ রান করলে জিতবে, এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। এরপর বিরাট ও শিখর ধাওয়ান ম্যাচ টেনে নিয়ে গেলেও শিখর ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ব্যাট করতে নেমে এদিনও ব্যর্থ সঞ্জু স্যামসন। ১০ রান করে ফিরতে হয় তাঁকে।
শ্রেয়স আইয়ার এরপর নেমেই প্রথম বলে আউট হন। কার্যত এখানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের সব আশা। তারপরেও বিরাট লড়াই দিয়েছেন। হার্দিককে সঙ্গে করে বিরাট কিছুটা লড়াই দেওয়ার পর হার্দিক ফেরেন ২০ রান করে। বিরাট ফেরেন ৮৫ রান করে।
শেষে শার্দূল ঠাকুর ২টো ছক্কা হাঁকিয়ে কিছুটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করেন। তবে রান তখন এতটাই বেশি ছিল যে তা অত কম বলে তোলা সম্ভব হয়নি। ১২ রানে ম্যাচ হারে ভারত। ম্যাচের সেরা হন মিচেল সোয়েপসন।