ভারতের অধিনায়ক হিসাবে জীবনের প্রথম টি-২০ ম্যাচে জয়ের রেকর্ডটা অধরাই থেকে গেল বিরাট কোহলির। এদিন কানপুরের গ্রিন পার্কে ইংল্যান্ডের কাছে কার্যত দাঁড়িয়ে হারল ভারত। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং। তিনটি বিভাগেই ভারতকে গোহারান হারিয়েছে মর্গানের দল। এমনকি টসটাও শিকেয় ছেঁড়েনি ভারতের। এদিন টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মর্গান। কানপুরের পাটা পিচে ভাল রান ওঠার ধারা বহুদিনের। মাঠটাও অপেক্ষাকৃত ছোট। ফলে সেদিক থেকেও রান ওঠার সুযোগ ছিল। কিন্তু এসব কোনও বৈশিষ্ট্যই এদিন ধোপে টেকেনি। তবে শুরুটা বিরাট কোহলি আর কে এল রাহুলের জুটি মন্দ করেনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় রাহুলকে। এরপর একে একে বিরাট কোহলি, যুবরাজ, মণীশ পাণ্ডেরা আউট হতে থাকেন। বরং ঘরের মাঠে ভাল ব্যাট করেন সুরেশ রায়না। রানও তোলেন। শেষ পর্যন্ত টিকে গিয়ে ধোনি একটা মরিয়া চেষ্টা চালালেও তাতে রান তেমন ওঠেনি। ১৪৭ রানে শেষ হয় ভারতের ইনিংস। ব্যাট করতে নেমেই ঝোড়ো আক্রমণের কৌশল নেয় ইংল্যান্ড। কাজেও লাগে স্ট্র্যাটেজি। কিন্তু চাহল এক ওভারে দুই ওপেনার জ্যাসন রয় ও স্যাম বিলিংসকে আউট করে ফের ইংল্যান্ডের সামনে কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জ খাড়া করার চেষ্টা করেন। কিন্তু মর্গান নেমে খেলার হাল ধরে নেন। স্ট্র্যাটেজি বদলে ধরে খেলার রাস্তায় হাঁটেন। তাতে কাজ হয়। এদিন মর্গান যখন ব্যক্তিগত ৫১ রানে আউট হলেন তখন খেলা কার্যত ইংল্যান্ডের হাতের মুঠোয়। এদিন ভারতের ফিল্ডিংয়েও প্রচুর ফাঁকফোকর ধরা পড়েছে। খোদ অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাতের তলা দিয়ে দুবার বল গলে যায়। ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০-তে পিছিয়ে পড়ল ভারত। সিরিজ পেতে বাকি ২টো ম্যাচই জিততে হবে কোহলি বাহিনীকে। অন্যদিকে ইংল্যান্ড ১টা জিততে পারলেই সিরিজ পকেটে পুরবে। পরের খেলা আগামী রবিবার নাগপুরে। আর শেষ ম্যাচ পয়লা ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন বেঙ্গালুরুতে।