প্রথম দিনেই ব্যাট হাতে স্টার্ক তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি জানান দিয়েছিলেন। কিন্তু দিনের শেষে টেস্টের লাগাম ছিল বিরাটদের হাতেই। দ্বিতীয় দিনে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৪ রান যোগ করে ২৬০ রানে অলআউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরে অজি বাহিনী। এই অবস্থায় পরিকল্পনা ছিল একটা বড় রানের ইনিংস গড়ে অজিদের তৃতীয় দিনের শেষে ব্যাট করতে পাঠানো। হয়তো অঙ্কের হিসাবে জয়ের উপপাদ্যও সাজিয়ে ফেলেছিলেন বিরাটরা। কিন্তু পিকচার যে তখনও কতটা বাকি তা বোধহয় আন্দাজ করতে পারেননি তাঁরা। হাড়েহাড়ে বুঝলেন মাঠে নেমে। ওপেনার কে এল রাহুল ৬৪ রানটা না করলে ভারত এদিন টেস্টে এক ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা থেকে বেশি দূরে ছিলনা। রাহুলের ৬৪ রান বাদ দিলে রাহানের ১৩ আর মুরলী বিজয়ের ১০ রান। এটাই ভারতের উজ্জ্বল ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ! কারণ বাকি ৭ জনের কেউই ২ অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি। ওয়ানডেতেও যা সচরাচর দেখা যায়না সেই ৪০ ওভারেই ভারতের বুক ফোলানো ব্যাটিং লাইন আপকে লাইনে দাঁড় করিয়ে প্যাভিলিয়ন থেকে ক্রিজে আবার ক্রিজ থেকে প্যাভিলিয়নে কুচকাওয়াজ করালেন স্টার্ক। স্টার্কের ঘূর্ণিতে এদিন কার্যত বল খুঁজে পাননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা। স্পিন নাকি ভারত সবচেয়ে ভাল খেলে! ক্রিকেট দুনিয়ায় এ এক মিথে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সেই মিথের মাথায় হাতুড়ি পিটিয়ে স্টার্ক বুঝিয়ে দিলেন স্পিন কাকে বলে! ফল ১০৫ রানে শেষ ভারতের ইনিংস। ফের ব্যাট হাতে নেমে দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে পিচের ঘাড়ে সব দোষ চাপিয়ে রেহাই পাওয়ার রাস্তাও পেল না ভারত। কারণ যে পিচে ভারতকে নিয়ে ছিনিমিনি খেললেন স্টার্ক, সেই পিচেই অস্ট্রেলিয়ার স্কোর মন্দ নয়। খেলা আপাতত অজিদের দখলে। কোনও অঘটন না ঘটলে পুনে টেস্ট অজিদের।