অস্ট্রেলিয়াকে ৭৫ রানে হারিয়ে দিল ভারত। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের দুপুরটা ভারতের নামে লেখা রইল ক্রিকেট ইতিহাসে। প্রথম দিন থেকে পেন্ডুলামের মত খেলা একবার অজিদের পক্ষে গেছে তো একবার ভারতের পক্ষে। ফলে শেষ হাসি কে হাসে তা দেখতে এদিন চিন্নাস্বামীতে কাজের দিনেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। নিরাশ হতে হয়নি দর্শকদের। চতুর্থ দিনের পুরো সময়টাই ছিল টানটান উত্তেজনায় ভরা। সেই সঙ্গে ছিল ভারতের জন্য গলা ফাটানোর সুযোগ। অবশেষে লিয়ঁকে অশ্বিন কট এন্ড বোল্ড করার সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো গ্যালারি। প্রথম দিনে যেখানে ভারতের নিশ্চিত হার জেনে হতাশ ছিলেন সকলে। সেখানে চতুর্থ দিনেই পুরো পাশা বদলে দিল বিরাট বাহিনী। এদিনের স্বপ্নের জয়ে ৪ টেস্টের সিরিজে সমতাও ফেরাল ভারত। সিরিজ এখন ১-১। এদিন জয়ের পর উইকেট হাতে বিরাটের খুশি মাঠেই বারবার নজর কেড়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় টেস্টেও ভাল অবস্থায় থেকে এমন একটা হারে অজি খেলোয়াড়দের মুখ ছিল বিমর্ষ। তৃতীয় দিনের পর এদিন সকালে ব্যাট করতে নেমেও রাহানে-পূজারা জুটি ভারতের জয়ের আশা ক্রমশ উজ্জ্বল করতে থাকেন। পূজারা ৯২ রানে আউট হন। রাহানে ৫২ রানে। পরে ব্যাট করতে নেমে কঠিন উইকেটে ঋদ্ধিমান সাহার অপরাজিত ২০ রান অজিদের সঙ্গে রানের তফাত আরও কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। অবশেষে জয়ের জন্য ১৮৮ রানের টার্গেট দিয়ে শেষ হয় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১৮৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন অজি ব্যাটসম্যানেরা। ক্রমশ উজ্জ্বল হতে থাকে ভারতের জয়ের আশা। উমেশ যাদব ভাল বল করে ২ উইকেট তুললেও এদিন মূর্তিমান যমের চেহারা নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিনের ঘূর্ণির সামনে কার্যত আয়ারাম গয়ারামের মত অবস্থা হয় অজিদের। শেষ ১১ রানে ৬ উইকেট হারায় ক্রিকেটবিশ্বে চিরকাল সমীহ আদায় করে আসা দ্বীপরাষ্ট্রের খেলোয়াড়েরা। ওপেনার ওয়ার্নার (১৭), অধিনায়ক স্মিথ (২৮), হ্যান্ডসকব (২৪) ও মার্স (১৩) রান করে কোনওক্রমে ২ অঙ্কে পৌঁছতে পারলেও বাকিরা এক অঙ্কের গণ্ডি পার করতে পারেননি। অশ্বিন একাই তুলে নেন ৬ উইকেট। তৃতীয় টেস্ট শুরু আগামী ১৬ মার্চ। খেলা হবে রাঁচির জেএসসিএ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।