লাঞ্চ পর্যন্তও অস্ট্রেলিয়াকে খেলা টানার সুযোগ দিলনা ৮৬ রানের লক্ষ্যে ছোটা ভারত। তার আগেই জয় ছিনিয়ে নিল তারা। চতুর্থ দিনের সকালেই ৮ উইকেটে ধরমশালা টেস্ট জিতে নিল রাহানের ভারত। তৃতীয় দিনের শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৯ রান তুলেছিল ভারত। জয়ের জন্য বাকি ছিল ৮৬ রান। এদিন সকালে ধরমশালার পাহাড়ঘেরা মনোরম পরিবেশে খেলতে নেমে কে এল রাহুল যথারীতি বেশ কিছু ছবির মত শট খেলেন। শিক্ষানবিশদের জন্য রাহুলের খেলা ছিল শেখার মত। রানও তোলেন বেশ দ্রুত। একের পর এক চার আসে তাঁর হাত ধরে। বরং অন্যদিকে মুরলী বিজয়কে সকাল থেকেই নড়বড়ে ঠেকেছে। ব্যাটে বলে ঠিকঠাক হচ্ছিল না। দলের ৪৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান তিনি। মাঠে নামেন পূজারা। কিন্তু মাত্র ০ রানেই ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকেও। পরপর ২ উইকেট হারানো ভারতকে চাপে ফেলা সুযোগ আসে অজিদের সামনে। কিন্তু কোথায় চাপ! রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধা অধিনায়ক রাহানেকে দেখে এদিন বারবার মনে হয়েছে আইপিএলের প্রস্তুতি এই ম্যাচ থেকেই শুরু করে দিলেন তিনি। কামিন্সের পরপর দু’বলে দুটো ছক্কা, একের পর এক চার মেরে রাহানে ওই অল্প সময়ের মধ্যেই অজি বোলারদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন। অন্যদিকে রাহুল ছিলেন স্লো বাট স্টেডি। জয়সূচক রান তাঁর ব্যাট থেকেই আসে। সেইসঙ্গে নিজের অর্ধ শতরানও পূর্ণ করেন তিনি। ৮ উইকেট বাকি থাকতেই ধরমশালা টেস্ট ও সিরিজ পকেটে পোরে ভারত। এই নিয়ে টানা ৭টি সিরিজ জিতে নিল ভারত। যা এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে কখনও হয়নি। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশের পর ঘরের মাটিতে বিশ্বের ২ নম্বর টেস্ট খেলিয়ে দলকে পেয়েছিল ভারত। প্রথম টেস্টে হার ব্যাকফুটেও ফেলে দেয় বিরাটের ছেলেদের। কিন্তু তারপরই ঘুরে দাঁড়ায় তারা। অবশেষে ২-১-এ সিরিজ জিতে গাভাস্কার-বর্ডার ট্রফি জিতল ভারত। এদিন গাভাস্কারের হাত থেকে ট্রফি নেন বিরাট ও রাহানে। ম্যাচের সেরা এবং সিরিজের সেরা হয়েছেন রবীন্দর জাদেজা।