খেলা শুরুর আগে নাকি পিচে একটু বেশিই জল ছিটিয়ে দিয়েছিলেন পিচের দায়িত্বে থাকা লোকজন। ফলে মাটি একটু বেশিই নরম হয়ে গিয়েছিল। ফলে অপরূপ সমুদ্র শহর অ্যান্টিগার আকাশ রোদঝলমলে হলেও খেলা শুরু হতে এদিনও দেরি হয়। তবে ৫০ ওভার কমানো হয়নি। টস জিতে এদিন ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় উইন্ডিজ। পিচ ভিজে, তাই সেই সুযোগ তো নিতেই হবে। ফলে সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিলনা। শুরু থেকেই ভারতীয় ব্যাটিং নড়বড় করছিল। কিছুতেই কোনও ব্যাটসম্যান নিজের খেলাটা খেলতে পারছিলেন না। দ্রুত আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ধাওয়ান ও বিরাট। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। তারপর রাহানে-যুবরাজ জুটি কিছুটা টানলেও রানের গতি তেমন ছিলনা। বিশুর বলে যুবি ফেরার পর নামেন ধোনি। শুরু থেকে তাল করতে না পারা ধোনি কিন্তু ধরে রেখেছিলেন একদিক। অন্যদিকে রাহানে এই কঠিন পিচেও কিছুটা রান তোলার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। রাহানে ৭২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ফিরলেও ধোনিকে তখনও ছন্দে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে পাওয়া গেল। আর যখন গেল তখন ধোনির অন্য রূপ। খেলার শেষ ১০ ওভারে ধোনির ব্যাটিং ভারতীয় স্কোরবোর্ডকে স্বস্তি দেয়। ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে নট আউট ধোনির চওড়া ব্যাট আর অন্যদিকে কেদার যাদবের কিছু না ভোলা শট ভারতকে ২৫১ রানে পৌঁছে দেয়। কঠিন পিচে যা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। ইনিংসের শুরু থেকে নড়বড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ে প্রথম থেকেই ধস নামতে শুরু করে। দলগত ৮৭ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারানো উইন্ডিজ এরপর খেলেছে বটে, তবে জেতার আশা ছাড়াই। অবশেষে ৩৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানরা করে ১৫৮ রান। ভারতের সব বোলার উইকেট পেলেও পাননি কেবল ভুবনেশ্বর কুমার। কেদার যাদব এদিন ম্যাচে মাত্র ১টি বলই করেছেন। আর সেই ১টি বলেই ১টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এদিনের জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩ ম্যাচ শেষে ভারত এগিয়ে রইল ২-০-এ।