কোথাও যেন মনে হল হারার জন্যই মাঠে নেমেছিল বিরাটের দল। নাকি বুধবার কিংস্টনে সিরিজের শেষ ম্যাচকে জমজমাট করতেই এভাবে হার ভারতের? নাকি তারা ধরেই নিয়েছিল উইন্ডিজের ছোট রান যখন তখন তুলে দেবেন ব্যাটসম্যানেরা। অর্থাৎ ওভার কনফিডেন্স! প্রশ্ন উঠছে আমজনতার মনে। রাস্তার মোড়ে কানাঘুষোয় কিন্তু এ হারকে সন্দেহের চোখেই দেখছেন অনেকে। রবিবার অ্যান্টিগায় চতুর্থ একদিনের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। শুরু থেকে বড় একটা স্বচ্ছন্দ ব্যাটিং দেখাতে না পারলেও টুকটুক করে রান তুলেছে ক্যারিবিয়ান ওপেনিং ও মিডল অর্ডার। যার হাত ধরে ৫০ ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজের সংগ্রহ ১৮৯ রান। ১৯০ রান করলেই জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নামে ভারত। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ পকেটে এই অবস্থায় ভারতের দুরন্ত ব্যাটিং লাইনআপ অদ্ভুতভাবে ধীরে খেলা শুরু করে। টেস্ট না ওয়ান ডে সেটাই মাঝেমাঝে বোঝা যাচ্ছিলনা। ধাওয়ান, কোহলি, কার্তিক দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরলেও রাহানে আর ধোনি দুদিকে দাঁড়িয়ে যান। কিন্তু রানের গতি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। একসময়ে ১০ ওভারে মাত্র ২৩ রান তোলে ভারতীয় দল। এমনকি জয়ের জন্য যখন ৫ ওভারে ৩১ রান দরকার সেখানেও সেই রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় ভারত। কিন্তু রান ওঠেনি। খেলার ২ বল বাকি থাকতেই সব উইকেট হারিয়ে ১১ রানে উইন্ডিজের কাছে হেরে যায় ভারত।