জম্মু কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে জম্মু কাশ্মীরকে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে ভারত। ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু থেকেই করছিল পাকিস্তান। বুধবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির বৈঠকের পর পাকিস্তান একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করল। জম্মু কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করে ভারতের সঙ্গে যাবতীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করল পাকিস্তান। কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ভারতে ফেরত পাঠাচ্ছে তারা। ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। সেইসঙ্গে তারা দিল্লিতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকেও দেশে ডেকে নিচ্ছে। এছাড়া ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা রাষ্ট্রসংঘে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের এদিনের সিদ্ধান্তে যা দাঁড়াল তাতে পাকিস্তান কার্যত ভারতের সঙ্গে তাদের যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার রাস্তায় হাঁটল।
১৪ অগাস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ওদিন জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দাদের প্রতি পাকিস্তান সহমর্মিতা দেখাবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন তারা তাদের দেশে কালা দিবস পালন করবে বলেও জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এদিন পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, ৩ সেনা প্রধান, আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল সহ অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়া পাক পার্লামেন্টের যৌথ সংসদীয় অধিবেশনেও ভারতের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের নিন্দা করা হয়। যৌথ সংসদীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আরও সেনা মোতায়েন করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেরও দ্বারস্থ হতে চলেছে পাকিস্তান। কড়া নাড়তে চলেছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত কাউন্সিলে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান সম্পর্ক ছিন্ন করলে ভারতের তাতে কিছু এসে যায়না। তবে পাকিস্তানের যায়। বিশেষত বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে। তাই পাকিস্তান কী পদক্ষেপ করল তাতে ভারতের কিছু আসে যায়না বলেই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা