স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ঠিকানায় লেখা পিন কোডে সোনালি ছোঁয়া
এও এক ইতিহাস। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে ঠিকানার পিন কোডও ইতিহাস ছুঁয়ে ফেলল। ৬ সংখ্যার নম্বর এদিন পেল সোনালি ছোঁয়া।
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গোটা দেশ মাতোয়ারা। তার মধ্যেই আরও এক অনন্য নজির গড়ল দেশ। ঠিকানায় লেখা পিন কোড এদিন সুবর্ণ স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ঠিকানার পিন কোডও এক অনন্য মাইলস্টোন স্পর্শ করল।
দিনটা ছিল ১৫ অগাস্ট ১৯৭২ সাল। সেদিন ২৫ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছিল দেশ। আর সেদিনই দেশের ঠিকানা জগতে এক ইতিহাসের সূচনা হয়েছিল।
ওইদিন থেকেই ভারতে ঠিকানার সঙ্গে পিন কোড ব্যবস্থা চালু হয়। ৬ সংখ্যার একটি নম্বরকে জুড়ে দেওয়া হয় ঠিকানার সঙ্গে। যা একটি বিশেষ স্থানকে চিহ্নিত করা আরও অনেক সহজ করে দেয়।
ডাকবিভাগের কর্মীদের এতে ঠিকানা বোঝা আরও অনেক সহজ হয়ে যায়। যাকে অনেকে এখন জিপ কোড বলেও চিহ্নিত করেন।
এখন মানুষের কাছে ঠিকানা মানেই তাতে পিন কোড আবশ্যিক। যা কিন্তু আজ থেকে ৫০ বছর আগে ছিলনা। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রকের সচিব তখন ছিলেন শ্রীরাম ভিকাজি ভেলাঙ্কর। তিনিই এই পিন কোড ব্যবস্থার প্রচলন করেন। সেই পিন কোড ব্যবস্থা এদিন স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে তার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে।
শ্রীরাম ভিকাজি ভেলাঙ্কর শুধু সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকই ছিলেননা, তিনি ছিলেন সংস্কৃত কবিও। এজন্য তিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পান। যাঁর হাত ধরে এখন গোটা দেশের ঠিকানায় অবশ্য উল্লেখ্য হয়ে উঠেছে পিন কোড।