ঠিকানায় লেখা ৬ সংখ্যার পিন কোডের প্রতি সংখ্যার বিশেষ অর্থ রয়েছে
ঠিকানায় ৬ সংখ্যার পিন কোড তো সকলের জানা। ঠিকানা লিখতে গেলেই তা দিতে হয়। কিন্তু এই প্রতিটি সংখ্যার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। যা জানা জরুরি।
যে কোনও মানুষকে ঠিকানা লিখতে বলা হলে ঠিকানায় তিনি একটি পিন কোড দেন। যা এখন ঠিকানা মানেই আবশ্যিক। এই ৬টি সংখ্যার প্রতিটি সংখ্যার কিন্তু নিজস্ব একটা গুরুত্ব রয়েছে, একটা মানে আছে। কিন্তু অনেকেই এই পিন কোড লেখেন বটে কিন্তু সংখ্যার কারণ জানা থাকেনা।
ডাক বিভাগের কাছে কিন্তু প্রতিটি সংখ্যার কারণ রয়েছে। ৬ সংখ্যার পিন কোডে প্রথম যে সংখ্যা লেখা থাকে তা অঞ্চল বোঝায়। দেশের ৪ দিক উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম নিয়ে ৪টি অঞ্চল। যা ১ থেকে ৮ সংখ্যার মধ্যে পড়ে। আর ৯ দিয়ে শুরু মানে তা হল কেবল সেনাবাহিনীতে চিঠির পিন কোডের শুরু।
ভারতের পূর্ব দিকের পিন কোড শুরু হয় ৭ আর ৮ দিয়ে। এছাড়া ১ আর ২ হল উত্তর ভারত, ৩ আর ৪ হল পশ্চিম ভারত, ৫ আর ৬ হল দক্ষিণ ভারত আর পূর্ব ভারত ৭ এবং ৮ দিয়ে শুরু।
এর পরের সংখ্যা বোঝায় রাজ্য। পরের সংখ্যা ও প্রথম সংখ্যা নিয়ে যে ২ সংখ্যা তৈরি হয় তা দেশের এক একটি রাজ্যকে বোঝায়। পশ্চিমবঙ্গের যেমন ৭০ থেকে ৭৪ পর্যন্ত।
এরপর আসে তৃতীয় সংখ্যা। এই তৃতীয় সংখ্যাটি বোঝায় কোন জেলা। ৩টি সংখ্যার পর পড়ে থাকে আরও ৩টি সংখ্যা। পিন কোডের শেষের ৩টি সংখ্যা বোঝায় কোন পোস্ট অফিসের আওতায় ওই ঠিকানা পড়ছে। যা দেখে চিঠি ভাগাভাগি করে সেই পোস্টঅফিসে পাঠাতে সুবিধা হয় ডাক কর্মীদের। ১৯৭২ সালের ১৫ অগাস্ট ভারতে ঠিকানায় পিন কোড ব্যবস্থা চালু হয়।