পাহাড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে সমতলে নেমে আক্রমণ হানল জঙ্গিরা। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন মহম্মদ আশরাফ মীর ও মদন লাল নামে ২ জওয়ান। আহত এক সেনা কনস্টেবলের মেয়েসহ ৬ জন। সেনার পাল্টা গুলিতে নিকেশ হয়েছে ১ জঙ্গি। এখনও গুলির লড়াই অব্যাহত।
শনিবার ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৫টা। হাল্কা কুয়াশার চাদর তখনও ঘিরে রয়েছে জম্মুতে। সবে একটু একটু করে কর্মব্যস্ততায় ফিরছিল সুঞ্জওয়ানের সেনা আবাসন। সেনা সূত্রে খবর, আচমকাই ওই সেনা আবাসনে ঢুকে পড়ে কয়েকজন জঙ্গি। সংখ্যায় তারা ৩-৪ জন হবে বলে অনুমান সেনাবাহিনীর। তারা প্রত্যেকেই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত বলে মনে করছে সেনা।
ভোরবেলা সেনা আবাসনের সুরক্ষা ব্যবস্থার বেড়া টপকে ঢুকে পড়ে জঙ্গির দল। ২০০৩-এর পরে এটাই সুঞ্জওয়ানের সেনা আবাসনে জঙ্গিদের দ্বিতীয় হামলা। শুরুতেই সুরক্ষাকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। গ্রেনেড ফাটাতে ফাটাতে তারা ঢুকে পড়ে সেনা ছাউনির ভিতর। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান, আবাসনে সেনাদের পরিবারকে বন্দি করে মুক্তিপণ চাওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। জঙ্গি হামলার খবর পেয়েই সুঞ্জওয়ানের সেনা আবাসনে এসে উপস্থিত হয় জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ কম্যান্ডো ফোর্স। তাদের সাথে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। যা দুপুর পর্যন্তও অব্যাহত।
জঙ্গিদের আচমকা আক্রমণে প্রথম পর্বে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সেনাবাহিনী। পরে জঙ্গিদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে জওয়ানদের ব্যারিকেড। আকাশপথে জঙ্গিদের ওপর হামলা ও নজরদারি চালাতে ব্যবহার করা হয় হেলিকপ্টার। জঙ্গি আক্রমণের পর গোটা এলাকাকে মুড়ে দেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ১ জঙ্গি। বাকিদের খোঁজে চলছে জোরকদমে তল্লাশি অভিযান।