একদিকে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে পাক রেঞ্জার্সদের এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ। অন্যদিকে উপত্যকার গ্রামগুলিতে গা ঢাকা দিয়ে মাঝেমাঝেই জঙ্গিদের মাথাচাড়া দেওয়ার প্রবণতা। এই ২ সমস্যা প্রতিনিয়ত অশান্ত করে তুলছে জম্মু কাশ্মীর উপত্যকাকে। বুধবার ফের নিরাপত্তাবাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল জম্মু কাশ্মীরের কুলগাম।
কুলগামের খুদওয়ানি এলাকায় স্থানীয় এক গ্রামবাসীর বাড়িতে ২-৩ জন জঙ্গির আত্মগোপন করে থাকার খবর পায় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের প্রত্যেকে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা-র সঙ্গে যুক্ত বলেও জানতে পারেন তাঁরা। সূত্রে খবর, রাতভর তল্লাশি চালিয়ে গোটা গ্রাম ঘিরে নেয় জম্মু কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনা। বুধবার ভোরের দিকে আচমকাই একটি বাড়ি থেকে জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ও পাথর ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা প্রতিরোধের পথে হাঁটে যৌথবাহিনী।
জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে জখম হন ৩ জওয়ান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ১ জনের মৃত্যু হয়। ভোরের দিকে ঘরের বাইরে বেরিয়ে গোলাগুলির মাঝে পড়ে প্রাণ হারান ২ কিশোরসহ ৩ জন গ্রামবাসী। জখম হন আরও ৪০ জন। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এদিকে পাল্টা জঙ্গি নিকেশ করতে জঙ্গিরা যে বাড়িতে লুকিয়ে ছিল সেই বাড়িতে বড়সড় বিস্ফোরণ ঘটায় সেনা। বিস্ফোরণে গোটা বাড়িটাই প্রায় ধসে পড়ে। যদিও তাতে জঙ্গি নিধন সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা সে সম্বন্ধে কিছুই জানতে পারা যায়নি। সংঘর্ষের পর কুলগাম ও অনন্তনাগ এলাকার মোবাইল সার্ভিস সাময়িক বন্ধ রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। সতর্কতার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে শ্রীনগর-বানিহাল রুটের রেল পরিষেবা।