জম্মু কাশ্মীরে পরিবারে মায়েদের প্রভাব যথেষ্ট। তাই মায়েদের বিশেষ করে বলা হচ্ছে। যদি তাঁরা দেখেন ছেলে কোনওভাবে জঙ্গিদের সংস্পর্শে এসে বিপথে চালিত হচ্ছে তবে তাদের আটকান। বুঝিয়ে বলুন। ফিরিয়ে আনুন সমাজের মূল স্রোতে। কারণ যদি আগামী দিনে কোনও যুবককে এভাবে অস্ত্র তুলে নিতে দেখা যায় এবং সে আত্মসমর্পণ না করে তাহলে কিন্তু সেনা তাদের গুলি করে মারতে বাধ্য হবে। মঙ্গলবার স্পষ্ট করে ভারতীয় সেনার বর্তমান অবস্থান এভাবেই সকলের কাছে পৌঁছে দিলেন ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিলোঁ।
ধিলোঁ আরও বলেন, যেসব ছেলে ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অস্ত্র তুলে নিয়েছে, তাদের মায়েদের কাছে অনুরোধ তাঁরা যেন ছেলেকে বুঝিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। প্রসঙ্গত পুলওয়ামা হামলার পর সেনার তরফে কাশ্মীর জুড়ে জঙ্গি দমনে তৎপরতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন কিন্তু ভারতীয় সেনা তাদের অবস্থান কাশ্মীরের মানুষের কাছে পরিস্কার করে দিল।
যে জঙ্গি আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে পুলওয়ামায় কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটায় সেও কাশ্মীরেরই বাসিন্দা বলে জানতে পারে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকার অনেক যুবককে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের দলে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো। বাড়ির ছেলে জঙ্গিদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়াচ্ছে কিনা সে খবর তার পরিবারের কাছে সাধারণত থাকে। তাই এদিনের এই বার্তা কিন্তু যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)