অপেক্ষার সমাপ্তি। ২ দিন পাকিস্তানের হাতে বন্দি থাকার পর অবশেষে দেশে ফিরে এলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। শুক্রবার বিকেলে ওয়াঘা সীমান্তে তাঁকে ভারতীয় হাইকমিশনের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান। তবে ভারতের মাটিতে পা রাখতে তখনও দেরি ছিল। এরমধ্যেই ওয়াঘায় সন্ধে নামে। প্রবল হাওয়া বইতে থাকে। শুরু হয় ঝিরঝির করে বৃষ্টি। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শেষ অবধি রাত ৯টা ২১ মিনিট নাগাদ ভারতের মাটিতে পা রাখেন অভিনন্দন।
২ দিন আগেই পাকিস্তানের মাটিতে ধরা পড়া অভিনন্দনের ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই ওয়াঘা সীমান্তে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছিল। দেশের সত্যিকারের হিরোকে বরণ করে নিতে উচ্ছ্বাসে অন্ত ছিলনা। নাচ, গান, জয়ধ্বনি, ঢাক ঢোল, অতিকায় ফুলের মালা, দেশের জাতীয় পতাকা আর অধীর অপেক্ষা। সব মিলিয়ে এদিন বেলা যত গড়িয়েছে ততই সরগরম হয়েছে ওয়াঘা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অভিনন্দনকে একবার চোখের দেখা দেখার আশায় ছিল অধীর অপেক্ষার প্রহর গোনা।
এদিন মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা থাকলেও ভারত-পাক সীমান্তের ২ প্রান্তে যে ২টি দরজা রয়েছে তার ধারেকাছে কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। সেনা সকাল থেকেই ছিল যথেষ্ট তৎপর। এই উন্মাদনাকে সামনে রেখে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা তারা চায়নি। জানা যাচ্ছিল পাকিস্তানের রাস্তা ধরে ক্রমশ অভিনন্দনকে ওয়াঘার কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। অভিনন্দনকে ফেরাতে ফেরাতে বিকেল গড়াবে জেনে বিএসএফ এদিনের জন্য বিটিং রিট্রিট বন্ধ রাখে। তবে পাকিস্তান তা করেনি।
জানা যায় পাকিস্তান তাদের বিটিং রিট্রিট শেষ করার পরই অভিনন্দনকে তারা ভারতের হাতে তুলে দেবে। ফলে বিকেল থেকে ওয়াঘায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়। চারিদিক থেকে নজরদারি চলছিল। এদিন অভিনন্দনকে পাকিস্তানের হাতে থেকে নেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে অমৃতসর পাড়ি দেন ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিকরা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)